বাংলাদেশের উইকেট পড়ার পরে ভারতের ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: পিটিআই।
প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন শুভমন গিল। দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করলেন তিনি। শতরান করলেন ৬৩২ দিন পরে টেস্টে ফেরা ঋষভ পন্থও। প্রথম ইনিংসে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে একমাত্র রবিচন্দ্রন অশ্বিন উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই তিনিই ৩ উইকেট নিয়েছেন। তৃতীয় দিন বাংলাদেশকে হারানোর পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে ভারত। রোহিত শর্মাদের দরকার আর ৬ উইকেট। বাংলাদেশের জিততে চাই আরও ৩৫৭ রান। খারাপ আলোয় তৃতীয় দিনের খেলা প্রায় ৪৫ মিনিট আগে শেষ হয়েছে। নইলে হয়তো আরও সমস্যায় পড়ত বাংলাদেশ।
৮১ রানে ৩ উইকেট থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। ক্রিজ়ে ছিলেন শুভমন ও পন্থ। তাঁরাই খেলা চালিয়ে যান। প্রথম ইনিংসে লেগ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন শুভমন। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ভুল করেননি তিনি। অফ স্টাম্পের বলে তাঁর পরিচিত কভার ড্রাইভ দেখা গিয়েছে। সময় নিয়েছেন। ছাড়ার বল ছেড়েছেন। মারার বল মেরেছেন।
অপর প্রান্তে পন্থ নিজের পরিচিত আগ্রাসী মেজাজে খেলছিলেন। প্রথম ইনিংসেও চালিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ৩৯ রান করার পরে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য তেমনটা হল না। দুই ব্যাটার দলকে টেনে নিয়ে গেলেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বোলারেরা ভাল বল করছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁদের থিতু হওয়ার সুযোগ দেননি ভারতের দুই ব্যাটার।
পন্থ ও শুভমন দু’জনেই শতরান করেন। ১২৮ বলে ১০৯ রান করে আউট হন পন্থ। ১৩টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন তিনি। শুভমন অবশ্য আউট হননি। ১৭৬ বলে ১১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১০টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন। ছ’নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৯ বলে ২২ রান করেন লোকেশ রাহুল। ৪ উইকেটে ২৮৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন রোহিত। বাংলাদেশের সামনে ৫১৫ রানের লক্ষ্য দেন তাঁরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা খারাপ করেনি বাংলাদেশ। দুই ওপেনার আক্রমণাত্মক শুরু করেন। ভারতের পেসারদের বিরুদ্ধে হাত খোলেন জাকির হাসান ও শাদমান ইসলাম। উইকেটের জন্য ভারতীয় পেসারেরা ফুল লেংথে বল করছিলেন। সেটা কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান করছিলেন তাঁরা। দুই ওপেনারের মধ্যে ৬২ রানের জুটি হয়।
বাংলাদেশকে প্রথম ধাক্কা দেন যশপ্রীত বুমরা। জাকিরকে ৩৩ রানের মাথায় আউট করেন তিনি। ভাল ক্যাচ ধরেন যশস্বী। বাকি সময়ে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলেন অশ্বিন। ৩৫ রানের মাথায় তাঁর বলে আউট হন শাদমান।
বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ভাল খেলেন। অর্ধশতরান করেন তিনি। কিন্তু পাশে কাউকে পাননি শান্ত। মোমিমুল হক ও মুশফিকুর রহিম রান পাননি। দু’জনকেই ফেরান অশ্বিন। ৩৭.২ ওভারে বাংলাদেশের রান যখন ৪ উইকেটে ১৫৮, তখন আলো কমে যাওয়ায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। আর খেলা শুরু করা যায়নি। শান্ত ৫১ ও শাকিব আল হাসান ৫ রানে ব্যাট করছেন।
টেস্ট জিততে ভারতের দরকার আর ৬ উইকেট। অন্য দিকে বাংলাদেশের দরকার আরও ৩৫৭ রান। যা পরিস্থিতি তাতে ভারত অনেকটা এগিয়ে। চতুর্থ দিন ভারতীয় পেসারদের সামনে তাঁরা কত ক্ষণ টিকতে পারেন সেটাই চ্যালেঞ্জ শাকিব, শান্তদের।