বিরাট কোহলি (বাঁ দিকে) ও রোহিত শর্মা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
২০১৩ সালে শেষ বার আইসিসি প্রতিযোগিতা জিতেছিল ভারত। ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তার পর থেকে গত ১০ বছরে বার বার বড় প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হয়েছে ভারত। নেতৃত্বের ব্যাটন ধোনির হাত থেকে বিরাট কোহলি হয়ে রোহিত শর্মার হাতে গিয়েছে। কিন্তু ফল বদলায়নি। বার বার আইসিসি প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল বা ফাইনালে গিয়ে হারতে হয়েছে দলকে। গত ১০ বছরে ৮ বার কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল বা ফাইনালে উঠেছে ভারত। ৮ বারই হেরেছে তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল (২০১৪)
তিন বছর আগে এক দিনের বিশ্বকাপে হারের বদলা নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছিল তারা। বাংলাদেশের মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করে ১৩০ রান করে ভারত। বিরাট ৭৭ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। কুমার সঙ্গকারা ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এক দিনের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল (২০১৫)
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সে বার হারতে হয়েছিল ভারতকে। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩২৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ২৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল (২০১৬)
দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। সেমিফাইনালে মুম্বইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৯২ রান করে ভারত। কিন্তু তাতেও জয় আসেনি। লেন্ডল সিমন্স ও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট ম্যাচ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। সে বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারাই হয়েছিল।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল (২০১৭)
ইংল্যান্ডের ওভালে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় বোলারদের ব্যর্থতায় ৪ উইকেটে ৩৩৮ রান করে পাকিস্তান। শতরান করেন ফখর জামান। জবাবে ভেঙে পড়ে ভারতীয় ব্যাটিং। পাকিস্তানের কাছে ১৮০ রানে হারতে হয় ভারতকে।
এক দিনের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল (২০১৯)
আরও একটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারতে হয় ভারতকে। এ বার প্রতিপক্ষের নাম নিউ জ়িল্যান্ড। ইংল্যান্ডে সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৩৯ রান করেছিল নিউ জ়িল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। সেই ম্যাচের পরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন ধোনি।
টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল (২০২১)
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ফাইনালে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল ভারতকে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ২১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। নিউ জ়িল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করে ২৪৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে কোহলিরা ১৭০ রানে অলআউট হয়ে যায়। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে সেই ম্যাচ জিতে যায় নিউ জ়িল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল (২০২২)
অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করে ভারত। জবাবে কোনও উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জিতে যায় ইংল্যান্ড। ১০ উইকেটে ম্যাচ হারে ভারত।
টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল (২০২৩)
দ্বিতীয় বারও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছে ভারতকে। প্রথম ইনিংসে স্টিভ স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের শতরানে ভর করে ৪৬৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ভারত প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৭০ রানে ডিক্লেয়ার করে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৩৪ রানে। ২০৯ রানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।