মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
ক্ষমা চাইলেন মহম্মদ শামি। ক্ষমা চাইলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে। ক্ষমা চাইলেন সমর্থকদের কাছে। বার বার তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দলে ফিরবেন। কিন্তু পারেননি। ফিট শংসাপত্র পাননি। সেই কারণেই ক্ষমা চেয়ে নিলেন শামি।
অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা হওয়ার পরে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন শামি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, জিমে পরিশ্রম করছেন তিনি। ক্যাপশনে শামি লেখেন, “প্রতি দিন আরও সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য পরিশ্রম করছি। আরও পরিশ্রম করে যাব। ঘরোয়া লাল বলের ক্রিকেট খেলব।” তার পরেই ক্ষমা চেয়ে নেন শামি। তিনি বলেন, “সকল ক্রিকেট অনুরাগী ও বোর্ডের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু শীঘ্রই আমি লাল বলের ক্রিকেট খেলার জন্য তৈরি হয়ে যাব।”
অস্ট্রেলিয়া সফরে যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজ বাদে তৃতীয় পেসার হিসাবে উঠে আসছিল শামির নাম। তাঁকে নেওয়া হয়নি। গত বছর দেশের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকে আর শামি খেলেননি। হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। শামি তার পর থেকে বার বার জানিয়েছেন, জাতীয় দলে ফিরবেন। নিজের অনুশীলনে ফেরার ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। রঞ্জিতেও বাংলার হয়ে নামবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাঠে ফিরতে পারেননি তিনি। জানা গিয়েছে, বোর্ডের কাছ থেকে ফিটনেসের শংসাপত্র এখনও পাননি শামি। এত দিন ধরে মাঠের বাইরে থাকা কোনও বোলারকে সরাসরি অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিরুদ্ধে নামিয়ে দিতে চাইছে না বোর্ড। শামিকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না তারা। সেই কারণেই তাঁকে নেওয়া হয়নি।
শামির পরিবর্ত হিসাবে তিন জন পেসারের নাম উঠে এসেছিল। নবদীপ সাইনি ও মুকেশ কুমারের পাশাপাশি উঠেছিল হর্ষিত রানার নাম। নবদীপ অস্ট্রেলিয়ায় খেলেছেন। মুকেশও সাদা জার্সিতে ভারতের হয়ে খেলেছেন। কিন্তু তাঁদের বদলে হর্ষিতকে নেওয়া হয়েছে। বাকি দু’জনকে রিজার্ভে রাখা হয়েছে। বোর্ডের সূত্র আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, কোচ গৌতম গম্ভীরের কারণেই দলে জায়গা পেয়েছেন হর্ষিত। কেকেআরের পেসারকে আগে থেকেই গম্ভীর চেনেন। তিনি দিল্লির ছেলে। আইপিএলে গম্ভীরের অধীনে খেলেছেন। হর্ষিতের পক্ষে যুক্তি হিসাবে দু’টি কারণ দেখিয়েছেন গম্ভীর। এক, হর্ষিতের বলের গতি মুকেশ ও নবদীপের থেকে বেশি। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর বলের গতি কাজে লাগতে পারে। দুই, নবদীপ ও মুকেশের তুলনায় হর্ষিত অপরিচিত। তাই প্রয়োজনে তুরুপের তাস হিসাবে তাঁকে ব্যবহার করা যেতে পারে।