টেস্ট বিশ্বকাপের ট্রফির পাশ দিয়ে হতাশ হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন কোহলি। ছবি: টুইটার
আরও এক বার ফাইনালে উঠে হৃদয়ভঙ্গ ভারতের। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আবার হারল তারা। নিউ জ়িল্যান্ডের পর এ বার অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হারল তারা। তবে হারের থেকে এই পরাজয় কার্যত আত্মসমর্পণের সমান। কারণ অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ব্যবধান ২০৯ রানের।
তবে হারলেও পুরোপুরি খালি হাতে ফিরছেন না রোহিতরা। পকেটে ঢুকছে প্রায় সাত কোটি টাকা। টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনালে হারার ফলে ৮ লক্ষ টাকা পাবে ভারতীয় বোর্ড, যা ৬.৬ কোটি টাকার সমান। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া পাবে ১৬ লক্ষ ডলার, যা প্রায় ১৩.২ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, আইপিএল জয়ী দল পেয়েছে ২০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা প্রতিটি দলই কিছু না কিছু পাবে। তবে সেটা পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থানের বিচারে। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় স্থানে শেষ করায় সাড়ে চার লক্ষ ডলার বা ৩ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা পাবে। ইংল্যান্ড পাবে সাড়ে তিন লক্ষ ডলার বা ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। শ্রীলঙ্কা পাবে ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা।
এর পরে ছয় থেকে নয় নম্বরে শেষ করা যথাক্রমে নিউ জ়িল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং বাংলাদেশ ১ লক্ষ ডলার বা ৮২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা করে পাবে।
এ দিকে, পঞ্চম দিনের ম্যাচ শুরুর আগে বিরাট কোহলি একটি বার্তা দিয়েছিলেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন, “যদি আমাদের মনে খুব বেশি চিন্তা, ভয় ও সন্দেহ থাকে তা হলে বাঁচার ও ভালবাসার সুযোগ কম পাওয়া যায়। তার জন্য সব কিছুকে দূরে সরিয়ে রাখার অনুশীলন করতে হয়।” কিন্তু চিন্তা, ভয় এবং সন্দেহই ভারতকে জিততে দিল না। শনিবার যে বিরাট অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলছিলেন না। তিনিই রবিবার স্কট বোলান্ডের বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছোঁয়ালেন। বলের লাইন নিয়ে সন্দেহ ছিল বিরাটের। তাতেই আউট। সেখান থেকে ভারতের চিন্তা বাড়ল। মাত্র দু’টি বল খেলে রবীন্দ্র জাডেজা আউট হতেই সেই চিন্তা বদলে গেল ভয়ে। বিরাট যে তিনটি জিনিস পঞ্চম দিনে চাননি, সেই তিনটি জিনিসই ভারতকে হারিয়ে দিল। পরে রাহানে আউট হতে জয়ের আশাও ছেড়ে দেয় ভারত। বাকিদের উইকেট যাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা।
২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। তার পর থেকে আইসিসির একাধিক প্রতিযোগিতার নক আউট পর্বে উঠলেও ট্রফি জেতা হয়নি। কখনও সেমিফাইনাল, কখনও ফাইনালে উঠে হেরে গিয়েছে তারা। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ট্রফি আসছিল না। রোহিত শর্মাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে ভারত এখনও ট্রফি জিততে পারল না।