পিঠে স্ট্রেস রিয়্যাকশনের কারণে গত সেপ্টেম্বর থেকেই ক্রিকেটের বাইরে বুমরা। ফাইল ছবি
যশপ্রীত বুমরাকে নিয়ে ভারতের জন্য আরও খারাপ খবর অপেক্ষা করে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা তো বটেই, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়েও তাঁকে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। বোর্ড সূত্রে খবর, পিঠের চোট সারাতে আরও নাকি এক মাস লাগবে তাঁর। সোমবার শেষ মুহূর্তে তাঁকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ়ের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ় শুরু হতে ঠিক এক মাস বাকি। ৯ ফেব্রুয়ারি নাগপুরে প্রথম টেস্ট। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দলে নেওয়ায় অনেকেই আশাবাদী ছিলেন যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সুস্থ বুমরাকে পাওয়া যাবে। সেটা অবশ্য হচ্ছে না। সোমবার দলের সঙ্গে গুয়াহাটি যাননি বুমরা। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বুমরাকে নিয়ে ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না।
পিঠে স্ট্রেস রিয়্যাকশনের কারণে গত সেপ্টেম্বর থেকেই ক্রিকেটের বাইরে বুমরা। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) শুশ্রূষা করছিলেন। প্রথম ছ’সপ্তাহের রিহ্যাবের কথা বলা হয়েছিল। ধীরে ধীরে উন্নতি করছিলেন। ২৫ নভেম্বর অনুশীলন শুরু করেন। ১৬ ডিসেম্বর বোলিং করা শুরু করেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ের দলে প্রথমে তাঁকে রাখা হয়নি। ছ’দিন আগে দলে নেওয়া হয়। হঠাৎই ছাঁটাই করা হল।
সূত্রের খবর, এনসিএ-তে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী অনুশীলন করছিলেন বুমরা। তার পরেই তাঁকে ফিট ঘোষণা করা হয়। গত সপ্তাহে সেই পরীক্ষার পরে মুম্বইয়ে এসে এনসিএ-র ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান নীতীন পটেলের সামনে পরীক্ষা দেন। সেই পরীক্ষা এবং স্ক্যানের পরেই বোঝা যায়, বুমরার চোট সারতে আরও সময় লাগবে। যে পরিমাণ খেলার চাপ তাঁকে নিতে হবে, সেই চাপ তাঁর শরীর এখনই নিতে পারবে না। সে কারণেই ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে দল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বুমরাকে আরও তিন সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তার পরেই তিনি বল করতে পারবেন। তবে এই খবরে যে রোহিতের পরিকল্পনা ঘেঁটে গেল, তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচের আগে রোহিত বলেছেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এনসিএ-তে খুবই পরিশ্রম করছে। পুরো ফিট হওয়ার পরেই বোলিং শুরু করেছে। জানতে পেরেছি যে দু’দিন আগে ওর পিঠে কোথাও একটা ব্যথা লেগেছে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করতেই দলে রাখা হয়নি। খুব বিরাট ব্যাপার নয়। সামান্য আড়ষ্টতা রয়েছে। ওকে দলে রাখার সময় মনে হয়েছিল চাপ সামলাতে পারবে। তবে এখন ঠিক হয়েছে, ঝুঁকি নেওয়া হবে না।”