ম্যাচ জিতে উল্লাস ভারতীয় ক্রিকেটারদের। ছবি: এক্স।
ঠিক দু’ সপ্তাহ আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে বিশ্বজয়ী হয়েছিল ভারত। অধিনায়ক ছিলেন রোহিত শর্মা। ১৪ দিনের মাথায় আবার বিশ্বজয়ী ভারত। লেজেন্ডসদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। লিগ পর্বে পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হলেও, ফাইনালে হারের বদলা শেষমেষ নিতে পারল ভারতীয় দল।
শনিবার বার্মিংহামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ২০ ওভারে তারা ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে। ব্যাট হাতে ৩৬ বলে ৪১ রান করেন শোয়েব মালিক। এটাই দলের সর্বোচ্চ। বল হাতে অনুরীত সিংহ ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান। একটি করে উইকেট পান বিনয় কুমার, পবন নেগি এবং ইরফান পাঠান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হলেও ৩ ওভারের মাথায় পর পর দু’টি উইকেট হারায় ভারত। এর পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ তৈরি হয় অম্বাতি রায়ডু এবং গুরকিরত সিংহের মধ্যে। ১২ ওভারে তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত। অর্ধশত রান করে ডাগআউটে ফিরে যান রায়ডু। পরের ওভারে গুরকিরতও আউট হয়ে যান। আবারও টলমল অবস্থা হয় ভারতের। এর পর জুটি বেঁধে খেলেন ইউসুফ পাঠান এবং যুবরাজ সিংহ। ১৯ ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে আউট হন ইউসুফ। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ৩০ রান। এর পর মাঠে নামেন ইরফান পাঠান। শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১ রান। প্রথম বলে চার মেরে ফাইনালে সহজভাবে নিজের দলকে জেতালেন ইরফান। আবারও ট্রফির স্বাদ পেলেন ভারতীয় দল।
৩০ বলে ৫০ করে ম্যাচের সেরা হলেন অম্বাতি রায়ডু। সিরিজ়ের সেরা ইউসুফ পাঠান।