সিরিজ জিতল ভারত ছবি: টুইটার থেকে।
শিশির ভেজা মাঠে টসে জিতে বল করলেই যে ম্যাচ জেতা যায় সেই মিথ ভাঙলেন রোহিত শর্মারা। প্রথম দু’ম্যাচে পরে ব্যাট করে জিতেছিল ভারত। তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতেও ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। নিজেদের পরীক্ষার মুখে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই পরীক্ষায় সসম্মানে পাশ করলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ইডেনে তৃতীয় ম্যাচ ৭৩ রানে জিতে ৩-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতল ভারত।
প্রিয় মাঠে রাজকীয় ছন্দে দেখা গেল রোহিত শর্মাকে। প্রথম বল থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন তিনি। রোহিতকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া ঈশান কিশন। দু’জনে মিলে দ্রুত দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তাঁদের কাজ অনেকটা সহজ করে দিল শিশির। বিদ্যুৎ গতিতে বল যাচ্ছিল বাউন্ডারির দিকে। শিশিরের কারণে বল ধরতে সমস্যা হচ্ছিল ফিল্ডারদেরও।
ভারতীয় দলকে প্রথম ধাক্কা দেন চলতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট নেন তিনি। প্রথমে ২৯ রানের মাথায় কিশনকে আউট করার পরে শূন্য রানে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান তিনি। ঋষভ পন্থও রান পাননি।
অন্য দিকে রোহিত নিজের ছন্দে খেলতে থাকেন। ৫৬ রান করার পরে ইশ সোধির দুরন্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার পরে শ্রেয়স আয়ার ও বেঙ্কটেশ আয়ার পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন। যদিও তাঁরা বড় রান পাননি। একটা সময় মনে হচ্ছিল ১৬০-এর বেশি রান হবে না। কিন্তু শেষ দিকে হর্ষল পটেল ও দীপক চাহারের ঝোড়ো ইনিংসে ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৮৪ রান করে ভারত।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে আগের দু’ম্যাচের ছন্দেই ছিলেন মার্টিন গাপ্টিল। কিন্তু অন্য দিক থেকে উইকেট পড়তে থাকে। দুরন্ত বল করেন ভারতীয় স্পিনার অক্ষর পটেল। প্রথম ওভারেই ড্যারিল মিচেল ও মার্ক চ্যাপম্যানকে আউট করেন তিনি। পরের ওভারে নেন গ্লেন ফিলিপ্সের উইকেট। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। ৫১ রানের মাথায় যুজবেন্দ্র চহালের বলে গাপ্টিল আউট হতেই নিউজিল্যান্ডের সব আশা শেয হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৭.২ ওভারে ১১১ রানে শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ভারতের হয়ে অক্ষর তিন উইকেট নেন।
এই জয়ের ফলে অধিনায়ক হিসাবে দুরন্ত শুরু করলেন রোহিত। কোচ হিসাবে সফল রাহুল দ্রাবিড়ও। আপাতত শেষ সাদা বলের লড়াই। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে লাল বলের ক্রিকেটে মুখোমুখি হবে দু’দেশ।