আগ্রাসী মেজাজে রোহিত। ছবি: এএফপি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫৯ রানে জিতল ভারত। ফ্লরিডার প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জয় নিশ্চিত করলেন রোহিত শর্মারা। ভারতের ১৯১ রানের জবাবে ক্যারিবিয়ানরা করল ১৩২ রান।
টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। রোহিতরা করেন ৫ উইকেটে ১৯১ রান। মাত্র ১৬ বলে ২টি চার এবং ৩টি ছয়ের সাহায্যে ৩৩ রান করলেন ভারত অধিনায়ক। অন্য ওপেনার সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকে এল ১৪ বলে ২৪ রান। তিনি মারলেন ১টি চার এবং ২টি ছয়। এ দিন শ্রেয়স আয়ারের পরিবর্তে প্রথম একাদশে আসেন দীপক হুডা। তিন নম্বরে নেমে তিনি করলেন ১৯ বলে ২১। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঋষভ পন্থ খেললেন ৩১ বলে ৪৪ রানের আগ্রাসী ইনিংস। ৬টি চার দিয়ে সাজানো তাঁর ইনিংসটি। ২৩ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকলেন সঞ্জু স্যামসন। তবে রান পেলেন না দীনেশ কার্তিক (৯ বলে ৬)। ৮ বলে ২০ রান করে শেষ পর্যন্ত সঞ্জুর সঙ্গে উইকেটে ছিলেন অপরাজিত অক্ষর পটেল।
নিয়মিত উইকেট হারালেও ভারতীয় ব্যাটাররা রান তোলার গতি কমাননি। বরং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আগ্রাসী ব্যাটিং করলেন তাঁরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফলতম বোলার আলজারি জোসেফ ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। ওবেদ ম্যাককয় ২ উইকেট নিলেও খরচ করলেন ৬৬ রান। ২৮ রানে ১ উইকেট আকেল হোসেনের।
জবাবে ১৯.১ ওভারে ১৩২ রানেই শেষ হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারালেন পুরানরা। কোনও ক্যারিবিয়ান ব্যাটারই এ দিন ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং (১৩) এবং কাইল মেয়ার্স (১৪) দ্রুত ফিরলেন। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা ডেভন থমাসও (১)। কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেন পুরান এবং রভম্যান পাওয়েল। দু’জনের ব্যাট থেকেই এল ২৪ রান। পুরান মারলেন ১টি চার এবং ৩টি ছয়। পাওয়েলের ইনিংসে ছিল ১টি চার এবং ২টি ছয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাকি ব্যাটাররাও দলকে জেতানোর মতো খেলতে পারলেন না। শিমরন হেটমেয়ার (১৯ বলে ১৯ রান) কিছুটা চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না।
ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং ভরাডুবির মধ্যেও প্রচুর রান দিলেন অক্ষর পটেল। না হলে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত ভারত। ২ উইকেট নিলেও ৩ ওভার বল করে দিলেন ৪০ রান। ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন রবি বিষ্ণোই। এ দিন ভারতের সফলতম বোলার অর্শদীপ সিংহ ১২ রানে দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। ভাল বোলিং করলেন আবেশ খানও। তিনি ১৭ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট।