রমনদীপের লড়াকু ইনিংস সত্ত্বেও হার ভারতের। ছবি: সমাজমাধ্যম।
ছোটদের এশিয়া কাপে তিনটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠলেও তার বেশি এগোতে পারল না ভারত। শুক্রবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হারতে হল আফগানিস্তানের কাছে। ২০ রানে হেরেছে ভারতীয় দল। তবে শেষ দিকে ভাল না খেললে হারের ব্যবধান আরও বাড়ত। রবিবার ফাইনালে আফগানিস্তানের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা। এ দিন প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে পাকিস্তানকে।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চালাতে শুরু করেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার। ভারতের কোনও বোলারই দাগ কাটতে পারেননি। প্রত্যেকে মার খেতে থাকেন। দুই আফগান ওপেনার জুবেইদ আকবরি এবং সেদিকুল্লাহ অটল প্রতি ওভারে দশের কাছাকাছি রান তুলছিলেন।
দলের ১৩৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। আকিব খানের বলে ফেরেন আকবরি (৬৪)। তাতে অবশ্য আফগানদের রানের গতি কমেনি। অটলের সঙ্গে যোগ দেন করিম জনত। তিনিও ভারতীয় বোলারদের যথেচ্ছ আক্রমণ করেন। শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন অটল। তবে রসিখ সালামের বলে ফেরেন। ৭টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে ৫২ বলে ৮৩ রান করেন তিনি। রাসিখই ফেরান জনতকে (২০ বলে ৪১)। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৬ তোলে ভারত। রাহুল চাহার তিন ওভারে ৪৮ রান দেন।
এত রানের বোঝা নিয়ে নামলে শুরু থেকে চালানো ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। ভারতীয় ব্যাটারেরাও তাই করতে গেলেন। কিন্তু সফল হলেন না। ফলে একের পর উইকেট হারাতে শুরু করল ভারত। ক্রিজে নেমে কোনও ব্যাটারই বেশি সময় কাটাতে পারছিলেন না। তবে শেষ দিকে ভারতের মানরক্ষা হয় রমনদীপের ব্যাটে।
১০০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মনে হচ্ছিল বড় রানে হারতে চলেছে ভারত। সেখান থেকে আফগানিস্তানের উপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন কেকেআরের ক্রিকেটার রমনদীপ সিংহ এবং নিশান্ত সিন্ধু। দু’জনে মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন। ১৩ বলে ২৩ করে ফেরেন সিন্ধু। রমনদীপ শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ইনিংসের শেষ বলে ৬৪ রানে ফেরেন তিনি।