গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র।
ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে ১২ মাসের জন্য নির্বাসিত হলেন আফগানিস্তানের স্পিনার নুর আহমেদ। শারজা ওয়ারিয়র্স ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এক বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন না নুর। আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এই প্রতিযোগিতায় শাস্তি হল তাঁর। এর আগে জোরে বোলার নবীন উল হককেও চুক্তিভঙ্গের জন্য নির্বাসিত করেছিলেন প্রতিযোগিতা কর্তৃপক্ষ।
প্রতিযোগিতার প্রথম বছরে নুরকে কিনেছিল শারজা ওয়ারিয়র্স। দ্বিতীয় মরসুম শুরুর আগে চূড়ান্ত চুক্তিতে সই করতে তিনি রাজি হননি বলে অভিযোগ। ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি লিগের পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি খেলার কথা জানান তিনি। অথচ দ্বিতীয় মরসুমেও শারজা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলার ব্যাপারে আগে থেকেই চুক্তি করেছিলেন তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে নুরকে ২০ মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। পরে তরুণ ক্রিকেটারের বয়স এবং ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে ১২ মাস করা হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘শারজা ওয়ারিয়র্সের সঙ্গে চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য নুর আহমেদকে ১২ মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। ওয়ারিয়র্স কর্তৃপক্ষ নুরকে আরও এক বছর চুক্তি বৃদ্ধির অনুরোধ করেছিলেন। তা মানতে চাননি নুর। রিটেনশন নোটিশে সই করতে অস্বীকার করেছেন তিনি। ২০২৩ মরসুমে নুর শারজা ওয়ারিয়র্সের হয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন। খেলোয়াড়দের চুক্তি অনুযায়ী তাঁকে দ্বিতীয় মরসুমেও খেলার কথা বলা হয়েছিল। নুর রাজি না হওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন।’’
অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যের কমিটি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। তাতে নুরের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। আগামী আইপিএলের গুজরাত টাইটান্সের হয়ে খেলতে দেখা যাবে আফগানিস্তানের তরুণ স্পিনারকে।