ICC Women’s World T20

বিশ্বজয়ী হৃষিতার ঘরে ফেরার অপেক্ষা, উৎসবের মেজাজ হাওড়ার বিবেকানন্দ পল্লিতে

হাওড়ায় লক্ষ্মীরতন শুক্লার অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছেন হৃষিতা। অ্যাকাডেমির কোচ চরণজিৎ সিংহের কাছেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি হয় বছর আঠারোর ভারতীয় ব্যাটারের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:৩৫
Share:

ভারতীয় ব্যাটার হৃষিতা বসু। ছবি: সংগৃহীত।

মহিলাদের প্রথম অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। সেই দলেরই ব্যাটার হৃষিতা বসুর ঘরে ফেরায় অপেক্ষায় হাওড়ার বালিটিকুরি। রবিবার ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন পড়শিরা। সব মিলিয়ে কার্যত উৎসবের মেজাজে মেতে উঠেছে হৃষিতাদের ঠিকানা বিবেকানন্দ পল্লি।

Advertisement

হৃষিতা উঠে এসেছেন হাওড়ায় লক্ষ্মীরতন শুক্লার অ্যাকাডেমি থেকে। অ্যাকাডেমির কোচ চরণজিৎ সিংহের কাছেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি হয় বছর আঠারোর ভারতীয় ব্যাটারের। আট বছর ধরে চরণজিতের নজরদারিতে চলেছে প্রশিক্ষণ, অনুশীলন। পেয়েছেন লক্ষ্মীর পরামর্শও। এই বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে নিয়মিতই খেলেছেন হৃষিতা। ফাইনালেও অপরাজিত থেকেছেন শেষের দিকে নেমে। রবিবার ম্যাচের আগে মা মালবিকা বসুর সঙ্গে কথা হয়েছে হৃষিতার। ম্যাচ শেষের পর মা বলেন, ‘‘মেয়ে তো মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল যে, ওরাই চ্যাম্পিয়ন হবে। মেয়ের আত্মবিশ্বাস দেখে সত্যিই ভাল লাগছিল। কিন্তু ভীষণ টেনশন হচ্ছিল। এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।’’

হৃষিতাদের পড়শিরা একসঙ্গে বসে ম্যাচ দেখার ব্যবস্থা করেছিলেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মিষ্টি বিতরণ করা হয় পাড়ায়। পড়শি সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা সবাই একসঙ্গে খেলা দেখেছি। কী যে ভাল লাগছে!’’

Advertisement

কোচ চরণজিৎ বলেন, ‘‘সাহসকে পুঁজি করে এক জন কোথায় পৌঁছে যেতে পারেন, তার উদাহরণ হৃষিতা। ৮ বছর আগে প্রথম যখন অ্যাকাডেমিতে এসেছিল, তখনই নজর কেড়েছিল। বলের জন্য ছেলেদের মতো ঝাঁপাতে হৃষিতা ছাড়া আর কোনও মেয়েকে দেখিনি। বেশ পরিশ্রম করতে পারে। ফিটনেসও দারুণ। ছোট থেকে প্রতিটি স্তরেই সাফল্য পেয়েছে। ২০১৯ সালে প্রথম বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলে সুযোগ পেয়েছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement