এক দিনের ক্রিকেট নিয়ে আশঙ্কা ওড়াল আইসিসি। ফাইল ছবি।
এক দিনের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। সাফ জানাল বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। যদিও আইসিসি কার্যত মেনে নিয়েছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য ক্রীড়াসূচিতে প্রবল চাপ তৈরি হচ্ছে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এসে যাওয়ার পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সম্প্রতি। প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াসিম আক্রম, অজয় জাডেজা, উসমান খোয়াজার মতো প্রাক্তন এবং বর্তমান ক্রিকেটাররা। অতিরিক্ত ক্রিকেটের কথা বলে এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন বেন স্টোকসও। কিন্তু আশঙ্কা উড়িয়ে আইসিসি জানিয়েছে, ২০২৩-২৭ সালের ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে যথেষ্ট সংখ্যায় এক দিনের ক্রিকেট রয়েছে।
আইপিএল, বিগ ব্যাশের মতো বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি লিগ। শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও শুরু হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ। ফ্যাঞ্চাইজি লিগ সফল করার জন্য আগামী জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এক দিনের সিরিজ না খেলার কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট কর্তারা। এক দিনের ক্রিকেট নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে যখন গেল গেল রব উঠছে, তখন নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকল আইসিসি। যদিও তারা মেনে নিয়েছে, ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেট দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চেয়ারম্যান ক্রেগ বার্কলে বলেছেন, ‘‘বছরের ক্রিকেট সূচির উপর প্রবল চাপ তৈরি হচ্ছে।’’
আইসিসির চিফ এক্সিকিউটিভ জিওফ এলার্ডিস বলেছেন, ‘‘বার্মিংহ্যামে বার্ষিক সাধারণ সভায় তিন ধরনের ক্রিকেট সমান ভাবে চালানোর কথা হয়েছে। সে ভাবেই আমরা সূচি চূড়ান্ত করেছি। হ্যাঁ কিছু কথাবার্তা চলছে জানি। কিন্তু সেটা শুধু এক দিনের ক্রিকেট নিয়ে নয়। সব ধরনের ক্রিকেট এক সঙ্গে চালানোর কথাই হচ্ছে। প্রতিটি দলের আগামী দিনের সূচিতে ভাল সংখ্যায় এক দিনের ম্যাচ রয়েছে।’’
প্রায় সব দেশই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট সফল করার জন্য আইসিসির উপর চাপ তৈরি করছে। এ নিয়ে এলার্ডিস বলেছেন, ‘‘সব বোর্ডকেই ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সূচির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে। এমন ভাবে সূচি তৈরি করতে হবে, ক্রিকেটারদের উপর যাতে অতিরিক্ত চাপ তৈরি না হয়। প্রতিটি বোর্ডের পরিস্থিতি আলাদা। তাই একই রকম ব্যবস্থা সকলের জন্য সুবিধাজনক নাও হতে পারে।’’