রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
অক্টোবর-নভেম্বর জুড়ে চলবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ভারতে এমন সময়ে সেই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে যখন প্রায় প্রতিটি মাঠেই শিশিরের প্রভাব দেখা যাবে। পরে ব্যাট করা দল যাতে বাড়তি সুবিধা না পায়, তার জন্যে পিচ নির্মাতাদের বিশেষ নির্দেশ দিতে চলেছে আইসিসি। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পিচে যতটা সম্ভব ঘাস রাখার। এ ছাড়া ন্যুনতম বাউন্ডারির মাপ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
শিশিরের কারণে টসে জেতা দলের সুবিধা হতে পারে। পরে ব্যাট করে শিশিরের প্রভাব কাজে লাগিয়ে জিততে পারে তারা। ২০২১-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তেমনই দেখা গিয়েছিল। ভারতে সেই জিনিসের পুনরাবৃত্তি চাইছে না আইসিসি। তাই পিচে যথাসম্ভব বেশি ঘাস রাখার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতের পিচ সাধারণত স্পিন সহায়ক। কিছু দল যাতে এই কারণে অতিরিক্ত সুবিধা না পায়, তাই ভারসাম্য রাখার জন্যেও এই নির্দেশ। এতে প্রথম একাদশে বেশি পেসার রাখার প্রবণতা বাড়বে বলে মনে করছে আইসিসি।
বোর্ডের এক সূত্র বলেছেন, “উত্তর, পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে শিশির পড়বেই। চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টি হতে পারে। টস যাতে কোনও ভাবেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে না পারে সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে আইসিসি। স্পিনারদের ক্ষমতা কমে যায় শিশির পড়লে। তা ছাড়া বেশি ঘাস থাকলে দলগুলি খুব বেশি স্পিনারদের উপর নির্ভর করবে না। মাঠও অনেক বেশি জীবন্ত হয়ে উঠবে। এক দিনের ক্রিকেটে বিরাট রান উঠলেই যে খেলাটা উত্তেজক হবে, এমনটা কিন্তু নয়।”
আরও একটি নির্দেশ দিয়েছে আইসিসি। পিচ থেকে বাউন্ডারির দূরত্ব কমপক্ষে ৭০ মিটার হতেই হবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে ন্যুনতম ৬৫ মিটার এবং সর্বোচ্চ ৮৫ মিটার বাউন্ডারির মান্যতা রয়েছে। কিন্তু ব্যাটে-বলে ভারসাম্য রাখতেই ৭০ মিটারের মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল সাধারণ স্পিন পিচেই খেলতে পছন্দ করে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের ম্যাচে স্পিনের প্রভাব দেখা না গেলেও, লখনউয়ে ইংল্যান্ড ম্যাচে পিচ তৈরি করা চ্যালেঞ্জ কিউরেটরদের কাছে।
ভারতের পিচে শিশিরের প্রভাবের কথা মেনে নিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকরও। বলেছিলেন, “শিশিরের প্রভাব থাকবেই। আগেও অনেক বার দেখেছি। কিন্তু দলের ভারসাম্য রাখা দরকারি। কখনও সখনও স্পিনারদের থেকে পেসাররা বল ভাল গ্রিপ করতে পারে। ভাল বোলার যে কোনও পরিস্থিতিতেই ভাল বল করতে পারে।”