প্রতীকী ছবি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরের দিন প্রতিযোগিতার সেরা একাদশ ঘোষণা করল আইসিসি। যে দলে ভারত থেকে এক জন ক্রিকেটারও সুযোগ পাননি। দলের নেতৃত্বে বাবর আজ়ম। পাকিস্তান থেকে তিনিই শুধু সুযোগ পেয়েছেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি দ্বাদশ ব্যক্তি। এ ছাড়া দলে আছেন অস্ট্রেলিয়া, নিউজ়িল্যান্ড, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা।
দল নির্বাচন করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন পেসার এবং বর্তমান ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ। সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। এ ছাড়া আরও এক ধারাভাষ্যকার এবং দুই সাংবাদিকও এই নির্বাচক কমিটিতে ছিলেন। ওপেনার হিসেবে নির্বাচকেরা বেছে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং জস বাটলারকে। এর পরে যথাক্রমে আছেন বাবর (অধিনায়ক), চরিত অসলঙ্কা, এডেন মার্করাম। দুই স্পিনার-অলরাউন্ডার— মইন আলি এবং ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ। বোলিং আক্রমণে রয়েছেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জ়াম্পা ও তিন পেসার— ট্রেন্ট বোল্ট, জস হেজ়লউড এবং অনরিখ নখিয়া।
ভারত থেকে এই দলে কারও নাম না দেখে গণমাধ্যমে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথম দুটো ম্যাচে ব্যর্থ হলেও পরে রান পেয়েছেন কে এল রাহুল (১৯৪ রান, স্ট্রাইক রেট ১৫২.৭৫) ও রোহিত শর্মা (১৭৪, স্ট্রাইক রেট ১৫১.৩০)। অন্য দিকে বোলারদের মধ্যে যশপ্রীত বুমরা নিয়েছেন সাতটি উইকেট। ইকনমি রেট ৫.০৮। নির্বাচকদের আহ্বায়ক বিশপ অবশ্য স্বীকার করেছেন, এই দল নিয়ে বিতর্ক হবে, তা তাঁরা জানতেন। বিশপের কথায়, ‘‘অনেকে অনেক মত দেবেন। চূড়ান্ত একাদশ নিয়েও অনেক কথাবার্তা হবে। নিবার্চকদের প্যানেল সেই সব মতামতকে অবশ্যই সম্মান করে।’’ জানা গিয়েছে, দল নির্বাচন করার সময় কয়েকটা ব্যাপারের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। যেমন, ব্যাটারদের ক্ষেত্রে মোট রান, স্ট্রাইক রেট এবং ম্যাচের উপরে কতটা প্রভাব ফেলতে পেরেছেন, তা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বোলারদের ক্ষেত্রেও উইকেট সংখ্যা এবং ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করার ব্যাপারটা গুরুত্ব পেয়েছে।
আইসিসির ঘোষিত একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া, রান ২৮৯, গড় ৪৮.১৬), জস বাটলার (ইংল্যান্ড, ২৬৯, ৮৯.৬৬), বাবর আজ়ম (পাকিস্তান, ৩০৩, ৬০.৬০), চরিত অসলঙ্কা (শ্রীলঙ্কা, ২৩১, ৪৬.২০), এডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৬২, ৫৪.০০), মইন আলি (ইংল্যান্ড, ৯২, স্ট্রাইক রেট ১৩১.৪২। উইকেট ৭), ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ (শ্রীলঙ্কা, ১৬ উইকেট), অ্যাডাম জ়াম্পা (অস্ট্রেলিয়া, ১৩ উইকেট), জস হেজ়লউড (অস্ট্রেলিয়া, ১১ উইকেট), ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজ়িল্যান্ড, ১৩ উইকেট), অনরিখ নখিয়া (দক্ষিণ আফ্রিকা, ৯ উইকেট)। দ্বাদশ ব্যাক্তি: শাহিন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান, ৭ উইকেট)।