কোহলীর ব্যাটিংয়ের ভক্ত শাদাব। ফাইল ছবি।
প্রথম ম্যাচে সামনে ভারত। অতিরিক্ত গুরুত্ব না দিলেও এই ম্যাচকে হালকা ভাবেও নিচ্ছেন না পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শাদাব খান। তাঁকে ভাবাচ্ছে মূলত দু’টি বিষয়। এক, শাহিন আফ্রিদির খেলতে না পারা। দুই, বিরাট কোহলীর উপস্থিতি।
কোহলী দীর্ঘ দিন চেনা ছন্দে নেই। সে জন্য শাদাব ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে হিসাবের বাইরে রাখতে রাজি নন। কোহলীর ব্যাটিংয়ের ভক্ত শাদাব চান দ্রুত চেনা ছন্দে ফিরুন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। কিন্তু সেটা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়। পাক অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘প্রার্থনা করি কোহলী আবার পুরনো ছন্দে ফিরুক। আগের মতোই খেলুক আবার। এখন যে খারাপ খেলছে তা নয়। কিন্তু ও নিজের যে মান তৈরি করে ফেলেছে, তার পাশে এখনকার পারফরম্যান্স দেখলে খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে কোহলী ছন্দে নেই। ব্যক্তিগত ভাবে কোহলীর ব্যাটে শতরান দেখতে চাই। কিন্তু সেটা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়। এই প্রতিযোগিতাতেই অন্য কোনও দলের বিরুদ্ধে শতরান করুক।’’
প্রাক্তন ক্রিকেটাররা অনেকেই কোহলীর সমালোচনায় সরব। যা পছন্দ নয় শাদাবের। খানিকটা সমালোচনার সুরে পাক অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘ওঁদের এখন আর খেলতে হয় না। সে জন্যই বোধ হয় ওঁদের মনে হয় কোহলী এখন আর ততটা ভয়ঙ্কর নয়। কোহলী বিরাট মাপের ব্যাটার। প্রচুর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স রয়েছে ওর। কোহলী মাঠে নামলে বিপক্ষ চাপে থাকতে বাধ্য। সতর্ক থাকতেই হয়। কখনই চাইব না আমাদের বিরুদ্ধে কোহলী বড় ইনিংস খেলুক।’’
কোহলীকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি শাদাব মেনে নিয়েছেন শাহিনের খেলতে না পারা তাঁদের জন্য ক্ষতি। সে জন্য অবশ্য নিজেদের পিছিয়ে রাখতে রাজি নন। বলেছেন, ‘‘নিঃসন্দেহে শাহিন আমাদের প্রধান বোলার। তবে ক্রিকেট কোনও এক জন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভর করে না। দলগত খেলা। ম্যাচ জেতানোর মতো আরও বোলার আমাদের রয়েছে। হ্যারিস রউফ, মহম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, শাহনওয়াজ দাহানির মতো বোলাররা আছে। আমরা এগিয়ে থেকেই মাঠে নামব।’’
ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে পাকিস্তান সাজঘরের পরিবেশ কেমন? পাক অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘পরিবেশ একদম শান্ত। সকলে হালকা মেজাজে রয়েছে। আমরা কোনও কিছু জটিল করতে চাইছি না। স্বাভাবিক এবং সাধারণ ভাবে করার চেষ্টা করছি। আমরা একটা একটা করে ম্যাচ নিয়ে ভাবছি।’’
এশিয়া কাপে নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছেন শাদাব। পাক অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত একটা লক্ষ্য নিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে এসেছি। প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটার হতে চাই। জানি, মুখে বলা যত সহজ, কাজে করা তত সহজ নয়। তবে কিছু করার ইচ্ছা বা জেদ থাকলে ঠিক হয়। দেশের জন্য নিজের সেরাটা দিতে আমি বদ্ধপরিকর। সেটা করতে পারলে ঠিক সাফল্য পাব। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি পেলে আমার স্বপ্নপূরণ হবে। আসল লক্ষ্য অবশ্যই পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করা। তার থেকে বড় কিছু হতে পারে না।’’