বাদ পড়া নিয়ে বেশি ভাবতে চান না অক্ষর। ছবি: টুইটার।
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। আট বছরেও ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য নন অক্ষর পটেল। সাফল্য পেলেও বার বার দলের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচের পর তা নিয়েই কথা বলেছেন অক্ষর।
দেশের হয়ে সব সময় নিজের সেরাটা দেওয়ার পরেও দলে নিয়মিত হতে পারেননি। মূলত রবীন্দ্র জাডেজার পরিবর্ত হিসাবেই ব্যবহার করা হয় তাঁকে। এ নিয়ে অক্ষর বলেছেন, ‘‘দু’টো ম্যাচ খেলার পর বসে থাকা একটু কঠিন। আবার হয়তো দুটো বা তিনটে ম্যাচ খেলার সুযোগ হল। আমি নিজেকে প্রস্তুত রাখি। নিজেকে বুঝিয়েছি। যখন যে সুযোগ পাই, সেটাকে কাজে লাগানোই লক্ষ্য থাকে।’’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাচ্ছে। টানা ম্যাচ খেলার ধকল সামলাতে এই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে শক্তিশালী বেঞ্চ তৈরি করার পাশাপাশি সেরা ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়াও অন্যতম উদ্দেশ্য। অক্ষর মনে করেন এমন পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকা দরকার এবং প্রতিটি ম্যাচকে সুযোগ হিসাবে নেওয়া উচিত। অক্ষর বলেছেন, ‘‘ভাল খেললে পরের ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা থাকে। যদিও আমি এখন মানসিক ভাবে তৈরি থাকি। দু’টো ম্যাচে সুযোগ পাওয়ার পর হয়তো আবার বসতে হবে। বিষয়টাকে ইতিবাচক ভাবেই দেখি। দেশের জন্য পারফর্ম করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে নিজেরই উন্নতি হবে। আপনি কী ভাবে সুযোগ কাজে লাগাবেন, তা আপনার উপর নির্ভর করে।’’ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে এক দিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক অক্ষরের। আট বছরে দেশের হয়ে ছ’টি টেস্ট, ৪৪টি এক দিনের ম্যাচ এবং ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতাধিক উইকেট রয়েছে।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে ১০ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন অক্ষর। মেডেন ওভারও পেয়েছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘পিচ কিছুটা শুকনো ছিল। এমন পিচে স্পিনাররা সাহায্য পায়। আমি উইকেটের লাইনে বল করার চেষ্টা করেছি। ব্যাটারদের ভুলের জন্য অপেক্ষা করেছি। তাতেই মেডেন পেয়েছি।’’
সতীর্থদের প্রশংসা করেছেন অক্ষর। তিনি বলেছেন, ‘‘বোলাররা সকলেই পরিকল্পনা মতো বল করেছে। আবেশ খান দারুণ ইয়র্কার এবং স্লোয়ার করেছে। শার্দুল ঠাকুরও ওয়াইড ইয়র্কারগুলো বেশ ভাল করেছে। বলের গতিও পরিবর্তন করেছে মাঝেমধ্যে। দীপক চাহার মাঠে ফিরেই তিন উইকেট নিল।’’ অক্ষর প্রশংসা করেছেন শুভমন গিলের। তরুণ ব্যাটারের ১৩০ রানের ইনিংস নিয়ে বলেছেন, ‘‘শুভমন ব্যাট করা মানে খুচরো রান আসতেই থাকে। খারাপ বল বাউন্ডারিতে পাঠাতে পারে। স্পিনারদের বিরুদ্ধে ভাল খেলে। দারুণ সুইপ এবং রিভার্স সুইপ মারতে পারে।’’