—প্রতীকী চিত্র।
একাধিক অভিযোগ আগেও ছিল। সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু নিজেকে সংশোধন করেননি কোচ। দলের বাসে মদ্যপান করায় বরখাস্ত করা হল হায়দরাবাদের মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ বিদ্যুৎ জয়সীমাকে।
হায়দরাবাদের ক্রিকেট মহলে হোয়াটস অ্যাপে ভাইরাল হয়েছে দলের বাসে বসে জয়সীমার মদ্যপানের ভিডিয়ো। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলেও সম্প্রচার হয়েছে তা। বিষয়টি জানার পরই জয়সীমাকে রাজ্যের মহিলা দলের কোচের পদ থেকে সরিয়ে দিলেন হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা। একই সঙ্গে তাঁকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে।
হায়দারাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জগন মোহন রাওয়ের সই করা একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে মহিলা দলের সদ্য প্রাক্তন কোচকে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। আমরা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্তের রিপোর্ট দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। যত দিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে তত দিন আপনি (জয়সীমা) ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারবেন না।’’
সংস্থার অন্যতম কর্তা ভাঙ্কা প্রতাপ বলেছেন, ‘‘জয়সীমার বিরুদ্ধে আগেও নানা অভিযোগ রয়েছে। তাঁর মদ্যপান নিয়ে মহিলা ক্রিকেটারদের অনেকে আপত্তি জানিয়েছেন। আমাকে সুপ্রিম কোর্ট সংস্থা পরিচালনার জন্য নিযুক্ত করেছে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়সীমাকে আমরা সরিয়ে দিয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। এক জন প্রাক্তন মহিলা ক্রিকেটারকেই আপাতত কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা মহিলা দলের জন্য এক জন ভাল কোচের সন্ধান করছি। জয়সীমার বিরুদ্ধে অন্তত ২০ জন মহিলা ক্রিকেটার আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আমরা তাঁকে নিয়োগ না করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁকেই আবার নিয়োগ করা হয় আগের কার্যকাল শেষ হওয়ার পর। আর হালকা ভাবে নেওয়া সম্ভব নয়।’’
হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন নিয়ে মামলা হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট দৈনন্দিন কাজ পরিচালনার জন্য দুই সদস্যের কমিটি নিয়োগ করেছিল। প্রতাপ ছাড়া সেই কমিটির অন্য সদস্য প্রাক্তন ক্রিকেটার বেঙ্কটপতি রাজু।