ভারতীয় ক্রিকেটে শেষ হল রবি শাস্ত্রী-বিরাট কোহলী যুগ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কোচের দায়িত্বে আর থাকবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন শাস্ত্রী।
এই জুটি প্রথম শুরু হয় ২০১৪ সালে। সে বার অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যাডিলেড টেস্টে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নির্বাসিত হওয়ায় কোহলী অধিনায়কত্ব করেন।
এরপর ব্রিসবেন এবং মেলবোর্নে পরের দুটি টেস্টে ধোনি নেতৃত্ব দিলেও আচমকাই টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। কোহলী পাকাপাকি ভাবে দায়িত্ব নেন
২০১৪ সালে শাস্ত্রী আট মাসের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেন। ২০১৬ সালে সরে যান। ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই প্রধান কোচ হিসাবে নিযুক্ত হন। শাস্ত্রী-কোহলী জুটির পাকাপাকি ভাবে কাজ করার সেই শুরু।
ভারতীয় ক্রিকেটকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছে এই জুটি। দেখে নেওয়া যাক, সেই সাফল্যের তালিকায় কী কী রয়েছে।
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ৩-০ ফলে টেস্ট সিরিজ জয়। শ্রীলঙ্কাকে সে দেশে গিয়ে হোয়াইট ওয়াশ করার ঘটনা সেটিই প্রথম।
২০১৮-১৯ সালে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়।
২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে তাদের দুই টেস্টের সিরিজে ২-০ ফলে হারানো। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইট ওয়াশ করার ঘটনাও সেই প্রথম।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ওঠে ভারত। গ্রুপ পর্বে সেরা ছিল ভারত। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে স্থানে ছিল। কিন্তু সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়।
২০২০-২১ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত। যদিও কোহলী সিরিজের পুরোটায় অধিনায়কত্ব করতে পারেননি।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠে ভারত। এ বারই প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হয়। প্রথম বারই ভারত ফাইনালে ওঠে। তবে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারতে হয়।
এই বছর ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে প্রথম টেস্টে হারার পর ভারত পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ফলে এগিয়ে যায়। এরপর ভারতীয় শিবিরে কোভিড সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় শেষ টেস্ট স্থগিত হয়ে যায়।
টেস্টে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে ভারত। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪২ মাস ভারত আইসিসি-র টেস্ট ক্রমতালিকায় শীর্ষ স্থানে ছিল।