অমিত মিশ্রের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা নতুন নিয়মের সুবিধা পেতে পারেন। ফাইল ছবি
দিন তিনেক আগেই হয়ে গিয়েছে আইপিএলের নিলাম। তরুণ ক্রিকেটারদের বিরাট দাম ওঠার পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে কিনতে দেখা গিয়েছে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদেরও, যাঁরা অনেক দিনই জাতীয় দলের হয়ে সুযোগ পান না। তবে আইপিএলের তথাকথিত এই ‘বুড়ো’দের বাঁচিয়ে দিতে পারে নতুন নিয়ম, আইপিএলের পোশাকি ভাষায় যার নাম ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’।
কী এই নিয়ম?
ম্যাচের আগে প্রতিটি দল প্রথম দলের এগারো জন ক্রিকেটারের পাশাপাশি আরও চার জন ক্রিকেটারকে রাখতে পারবে। ১৪ ওভারের মধ্যে যে কোনও সময় পরিবর্ত হিসাবে এক জনকে নামানো যেতে পারে। যদি প্রথম একাদশে চার বিদেশি থাকেন, তা হলে এক জন ভারতীয়কেই নামতে হবে। প্রথম একাদশে তিন বিদেশি থাকলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে আরও এক জন বিদেশি নামতে পারেন।
৪০ বছরের অমিত মিশ্র, ৩৪ বছরের পীযূষ চাওলা, মোহিত শর্মা এবং ইশান্ত শর্মাকে নিয়েছে বিভিন্ন দল। অমিত গিয়েছেন লখনউয়ে, দিল্লি নিয়েছে ইশান্তকে, গুজরাত নিয়েছে মোহিতকে, পীযূষ সুযোগ পেয়েছেন মুম্বইয়ে।
লখনউয়ের মেন্টর গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে কাজ করা এক কোচ সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “অমিতকে নিয়ে দারুণ কাজ করেছে লখনউ। ওর দক্ষতা দেখার কোনও দরকারই নেই। আইপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারিদের তালিকায় ও প্রথম তিনে রয়েছে। ৪০ বছর বয়স ঠিকই, হয়তো আগের মতো ফিল্ডিং করতে বা শেষ দিকে নেমে ছয় মারতে পারে না। কিন্তু নতুন নিয়মে ওকে সর্বক্ষণ প্রথম একাদশে রাখার দরকার নেই। গম্ভীরকে যদি একটুও বুঝে থাকি তা হলে বলতে পারি, অমিতকে বেশ কিছু ম্যাচে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হবে। সে ক্ষেত্রে মাত্র আট ওভার ফিল্ডিং করলেই হবে। চার ওভার নিজে বোলিং করল, চার ওভার ফিল্ডিং করল, তার পর ১৪ ওভারের আগেই বদলে দেওয়া হতে পারে।”
পরে ব্যাট করলে কী করা যাবে, সেটাও বলেছেন তিনি। ওই সূত্রের কথায়, “ওকে সে ক্ষেত্রে এমন ভাবে আনা হবে, যাতে দলের ফিল্ডিং সংক্রান্ত পরিকল্পনা ঘেঁটে না যায়। এখনও অনেক তরুণ ক্রিকেটারের থেকে ভাল খেলতে পারে অমিত। ৫০ হাজার মানুষের চাপ সামলে ও অনায়াসে পারফর্ম করতে পারে। শুধু চারটে ওভার ওকে মাঠে লুকিয়ে রাখতে হবে। আমার ধারণা সেটা সম্ভব।”
পীযূষের ক্ষেত্রেও একই জিনিস প্রযোজ্য। প্রাক্তন ক্রিকেটার দীপ দাশগুপ্ত বলেছেন, “মুম্বই হয়তো ওয়াংখেড়েতে গোটা ম্যাচে ওকে খেলাবে না। কিন্তু চিপকে খেললে কেন নয়? ঠিক ভাবে ব্যবহার করলে সেখানে পীযূষ কামাল করতে পারে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার এমন একটা নিয়ম যেখানে অতিরিক্ত দক্ষতা থাকা ক্রিকেটাররা বেশি সুযোগ পাবে।”