রামিজের নিশানায় সৌরভরা। ফাইল ছবি।
নাম না করে ভারতের ঘন ঘন অধিনায়ক বদলের সমালোচনা করলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান। রামিজ রাজার বক্তব্য, অধিনায়ক শক্তিশালী না হলে দলের উন্নতি সম্ভব নয়। প্রশ্ন তুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের বিসিসিআই পরিচালনা নিয়ে।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের সাফল্য নিয়ে কথা বলছিলেন রামিজ। সে সময় তিনি আরও বলেন, অধিকার থাকলেও দল নির্বাচনে কখনও হস্তক্ষেপ করেন না। একাধিক দেশের ক্রিকেট কর্তাদের তাঁর থেকে শেখা উচিত। কার্যত তিনি দাবি করেছেন, ক্রিকেটবিশ্বে তিনি সবথেকে সফল ভাবে ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনা করছেন।
পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা ক্রিকেটকে পরিচালনা করতে চান ফুটবলের মতো। অনেক দেশই এটা করে। ক্রীড়াসূচি শেষ করার জন্য ওঁরা কী করছেন, সেটা ওঁদের বোঝা উচিত। ওঁদের বোঝা উচিত, অধিনায়ক শক্তিশালী না হলে দল কখনও এগোতে পারে না। অধিকার থাকলেও আমি কখনও দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করি না। চাইলে করতেই পারি। কিন্তু করি না।’’
দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলি বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেটের জন্য বিভিন্ন ক্রিকেটারকে অধিনায়ক করেছে। ভারতীয় দলকে ২০২২ সালেই বিভিন্ন সিরিজ মিলিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাত জন অধিনায়ক। রামিজ কোনও নির্দিষ্ট দেশের নাম না করে সম্ভবত একাধিক অধিনায়কের তত্ত্বেরই সমালোচনা করেছেন। রামিজ জানিয়েছেন, নিজে দীর্ঘ দিন ক্রিকেট খেলায় খেলোয়াড়দের সমস্যা বুঝতে তাঁর অসুবিধা হয় না।
রামিজ বলেছেন, ‘‘খেলার পরিকল্পনা বুঝি। কারা ম্যাচ জেতাতে পারে জানি। কিন্তু স্বাধীন ভাবে দায়িত্ব দিলে এবং দল পরিচালনা করতে দিলে খেলোয়াড়রা দলের পারফরম্যান্সকে উন্নত করতে পারে। মাঠের বাইরে বসে ক্রিকেট পরিচালনা করা যায় না। এটা সফল পদ্ধতি হতে পারে না। আমরা একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করেছি। সকলেই জানে, কোনও সমস্যা হলে আমি মাত্র একটা ফোনের দূরত্বে রয়েছি। ক্রিকেটারদের কী কী সমস্যা হতে পারে, প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসাবে বুঝতে পারি। এই রকম সহজ পরিবেশ তৈরি করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।’’
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর রামিজের পিসিবি চেয়ারম্যান থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পদাধিকার বলে ইমরান-ঘনিষ্ঠ রামিজকে সরিয়ে দিতে পারেন। সেই সমীকরণ মাথায় রেখেও কি বাবর আলমদের সাফল্যকে নিজের বোর্ড পরিচালনার সুফল হিসাবে দেখাতে চাইছেন রামিজ?