হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
হার্দিক পাণ্ড্যর অস্ত্রোপচার হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই সময় থেকেই প্রশ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছিল, ভারতীয় অলরাউন্ডার দলে ফিরে এলেও বল কতটা করতে পারবেন? তাঁর শরীর বল করার চাপ কতটা নিতে পারবে তা নিয়ে চিন্তা ছিল। সম্পূর্ণ সুস্থ হার্দিককে পাওয়া ভারতীয় দলের জন্যেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি থাকলেও দলের ভারসাম্য বজায় থাকে।
চোট সারিয়ে ২০২২ সালের আইপিএলে ফিরে আসেন হার্দিক। ভারতীয় দলেও নিজের জায়গা ফিরে পান তিনি। টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের ক্রিকেটে খেললেও টেস্ট খেলছেন না। পাঁচ দিনের ক্রিকেট খেলার মতো পরিস্থিতিতে তাঁর শরীর এখনও পৌঁছায়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। এক দিনের ক্রিকেটেও ১০ ওভার বল করানো হচ্ছে না তাঁকে। হার্দিক সেই প্রসঙ্গে বলেন, “শরীর ঠিক আছে। বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হতে হবে। সেই কারণে বেশি ওভার বল করা প্রয়োজন। তবে এখন কচ্ছপের মতো এগোচ্ছি। ধীরে ধীরে নিজেকে সুস্থ করছি। খরগোশের মতো বেশি তাড়াহুড়ো করার পক্ষপাতী নই আমি। আশা করব বিশ্বকাপের সময় আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাব।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে রোহিত শর্মা খেলেননি। ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন হার্দিক। টি-টোয়েন্টিতে এখন প্রায়ই রোহিতকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। সেখানেও হার্দিককেই অধিনায়ক করা হয়। ভারতীয় দল আগামী দিনে সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকেই অধিনায়ক ভাবছে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে হেরে যায় ভারত। হার্দিক ম্যাচ শেষে বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যাশা মতো ব্যাট করতে পারিনি। আগের ম্যাচের থেকে উইকেট অনেক ভাল ছিল। শুভমন গিল ছাড়া সবাই শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছে। প্রায় সবার শটই সরাসরি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ফিল্ডারদের কাছে গিয়েছে। এই ফল খুবই হতাশার। আমাদের আরও অনেক কিছু শেখার আছে।’’
প্রথম ম্যাচে সহজে জেতার পর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৮১ রান করে ভারত। সেই রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ় তুলে নেয় ৩৬.৪ ওভারে। ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা।