হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
প্রস্তুত থাকলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নামতে হয়নি হার্দিক পাণ্ড্যকে। ডাগ আউটে বসে উপভোগ করেছেন সতীর্থদের ব্যাটিং। বাবর আজ়মদের বিরুদ্ধে জয়ের পর তাঁকে উচ্ছ্বসিত দেখায়। তবে হার্দিক শনিবার বেশি খুশি ছিলেন নতুন একটি দায়িত্ব পেয়ে। সাংবাদিকদের মতো সতীর্থদের সাক্ষাৎকার নিলেন তিনি।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শেষ হওয়ার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) একটি বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিল ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ককে। বোর্ডের ইউটিউব চ্যানেল বিসিসিআই টিভির অ্যাঙ্কার হিসাবে দেখা যায় তাঁকে। কথা বলেন সতীর্থদের সঙ্গে। হার্দিক প্রথমেই মাঠে ধরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। তাঁর কাছে জানতে চান বিশাল বিশাল ছক্কা মারার রহস্য। বলেন, ‘‘তুমি তো ভিডিয়ো গেমের মতো ব্যাটিং করল!’’ রোহিত তাঁকে হাতের পেশি দেখি শক্তির কথা বলেন। তিনি উত্তরে বলেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে এ ভাবেই ব্যাট করার চেষ্টা করছি। উইকেট এত ভাল ছিল যে শট খেলতে ইচ্ছে করছিল। জানি শতরান হাতছাড়া হয়েছে। তবে এখন আর ও সব ভেবে খেলতে নামি না।’’
অধিনায়ককে অনবদ্য ইনিংসের জন্য অভিনন্দন জানিয়েই হার্দিক দৌড় লাগান সাজঘরের দিকে। পায়ে প্যাড পরেই নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের লম্বা সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে উঠে যান তিনি। খোঁজ করেন ম্যাচের সেরার পুরস্কার পাওয়া যশপ্রীত বুমরার। বুমরাকে না পেয়ে চলে যান রবীন্দ্র জাডেজার কাছে। বাঁহাতি অলরাউন্ডার তখন ফোনে বাড়িতে কথা বলছিলেন। নাছোড় হার্দিকের জন্য ফোন রেখে দিতে বাধ্য হন জাডেজা। তাঁর কথা বলতে দেওয়ার অনুরোধ পাত্তাই দেননি সহ-অধিনায়ক। তাঁকে হার্দিক প্রশ্ন করেন, ‘‘এত সরল মুখ নিয়ে কঠিন বলগুলো কী করে করো তুমি?’’ হার্দিকের কথা শুনে হেসে ফেলেন জাডেজা। এর পর তিনি ধরেন মহম্মদ সিরাজকে। তাঁর সঙ্গে বুমরার বোলিং নিয়ে কথা বলেন হার্দিক। বুমরার লাইন, লেংথের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘ও বেশি কথা বলে না। তবে চুপচাপ নিজের কাজটা করে দেয়।’’ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে চলে আসেন বুমরা। সিরাজ, বুমরার সঙ্গে জয়ের আনন্দে মেনে ওঠেন হার্দিক।
বিসিসিআই টিভির জন্য হার্দিকের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিসিসিআইয়ের তরফেও ভিডিয়োটি ভাগ করে নেওয়া হয়েছে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে। যে ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতীয় সাজঘরের খুশির ছবি।