Hardik Pandya

Hardik Pandya: কঠোর পরিশ্রমের ফসল এই প্রত্যাবর্তন, বলছেন হার্দিক

ভারতীয় দলে ফিরে হার্দিক জানিয়েছেন তাঁর প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ের কথা। যে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২২ ০৭:৪০
Share:

আত্মবিশ্বাসী: অনুশীলনে নিজেকে পুরোপুরি ডুবিয়ে রেখেছিলেন হার্দিক।

আইপিএলে তাঁর নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গুজরাত টাইটান্স। ফাইনালের সেরাও হয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। এ বারের আইপিএলে ১৫ ইনিংসে ৪৮৭ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। সেই হার্দিক পাণ্ড্যই গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ফের জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। দিল্লিতে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চার-ছক্কা মেরে ১২ বলে ৩১ রানও করেছেন হার্দিক।

Advertisement

ভারতীয় দলে ফিরে হার্দিক জানিয়েছেন তাঁর প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ের কথা। যে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। হার্দিকের কথায়, ‍‘‍‘আইপিএল জিতে আমি খুব খুশি। কারণ এই লড়াইটা ছিল ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে ছিল ফিরে আসার লড়াই। এ ছাড়াও আরও কিছু ব্যাপার জড়িয়ে ছিল। আইপিএলের প্লে-অফে গিয়ে বা ফাইনালে ট্রফি হাতে তুলে সেই মানুষগুলোকে ভুল প্রমাণ করা গিয়েছে, যাঁরা কয়েক মাস আগে আমার প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। অনেকের মনেই আমাকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। আমার প্রত্যাবর্তনের আগে অনেক নেতিবাচক কথা বলা হয়েছিল আমাকে নিয়েই। তাঁরা এখনচুপ করে গিয়েছেন।’’

হার্দিক জানিয়েছেন, ভারতীয় দলে ফেরার সময়ে নিয়মিত ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠতেন এবং রাত সাড়ে ন’টায় ঘুমোতে যেতেন। মাঝের সময়ে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছিলেন অনুশীলনে। হার্দিক বলেছেন, ‍‘‍‘কাউকে উত্তর দিতে চাই না। আমি বরং অনেক গর্বিত, যে পদ্ধতি অনুসরণ করে আমি পরিশ্রমের মাধ্যমে ফের ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছি, সে ব্যাপারে।কেউ জানেন না, ভারতীয় দলের বাইরে থাকার সময়ে ছ’মাস আমি কী ধরনের পরিশ্রমে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছিলাম।ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠতাম। রাত সাড়ে ন’টায় ঘুমোতে যেতাম। অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। আইপিএলের আগে এটাই ছিল আমার প্রত্যেক দিনের লড়াই। আমি সারা জীবনই কঠিন পরিশ্রম করে বড় হয়েছি। জানতাম, পরিশ্রম করলেফল মিলবেই।’’

Advertisement

হার্দিকের এই কঠিন সময়ে পাশে পেয়েছিলেন দাদা ক্রুণাল পাণ্ড্যকেও। ভাইয়ের সঙ্গে প্রত্যেক দিন সকালে যেতেন অনুশীলনে। ক্রুণালও তাঁর ভাইয়ের প্রত্যাবর্তনে খুশি। লিখেছিলেন, ‘‘তুমি কতটা পরিশ্রম করেছ, চোখের সামনে দেখেছি। সত্যি অসাধারণ প্রত্যাবর্তন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement