Hardik Pandya

ধোনির অবদানের কথা হার্দিকের মুখে

রবি শাস্ত্রী থেকে ওয়াসিম আক্রম মনে করেন, ভারতীয় দলে এই অলরাউন্ডারের উপস্থিতি যে কোনও ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আর হার্দিক নিজে ধন্যবাদ দিচ্ছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৩৮
Share:

কৃতজ্ঞ: ধোনিকে দেখে শেখার চেষ্টা করতেন হার্দিক। ফেসবুক

চলতি এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতকে ম্যাচ জেতানোর পরে দুবাইয়ে ঝড় তুলে দিয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। রবি শাস্ত্রী থেকে ওয়াসিম আক্রম মনে করেন, ভারতীয় দলে এই অলরাউন্ডারের উপস্থিতি যে কোনও ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আর হার্দিক নিজে ধন্যবাদ দিচ্ছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। বলছেন, তাঁর উন্নতির নেপথ্যে ধোনির বড় ভূমিকা আছে।

Advertisement

এশিয়া কাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টসে হার্দিক বলেছেন, ‘‘আমি তখন নতুন। জীবন আর খেলায় নতুন নতুন জিনিস শিখছি। ওই সময় এম এস ধোনি আমার উন্নতির নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিল।’’ ভারতীয় অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘‘যখনই সুযোগ পেতাম, ধোনিকে দেখে শেখার চেষ্টা করতাম। ওর মানসিকতা, খেলাটার সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান, সব কিছু থেকেই শেখার চেষ্টা করেছি। মাঠে আমার ব্যক্তিত্বের উপরে তার ছাপও পড়েছে।’’

চার বছর আগে এশিয়া কাপে চোট পাওয়ার পরে হার্দিকের জীবনে অনেক ওঠা-পড়া এসেছে। ভারতীয় দল থেকেও ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। তার পরে এই বছরের আইপিএলে দুরন্ত ভাবে ফিরে আসেন। হার্দিকের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় গুজরাত টাইটান্স। তার পরে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বপ্নের পারফরম্যান্স। হার্দিক বলেছেন, ‘‘নিজের ভুল স্বীকার করা, সুযোগ কাজে লাগানো, ব্যর্থ হওয়া এবং ব্যর্থতা থেকে শেখা। এ ভাবেই জীবন চলে। কখনও কখনও এই ব্যর্থতা এমন শিক্ষা দিয়ে যায়, যা আপনার ঘনিষ্ঠ মানুষ, আপনার সহচর, এমনকী মাহি ভাইও শেখাতে পারে না। কিছু কিছু ব্যর্থতা আপনাকে অভিজ্ঞ করে দিয়ে যায়। যা থেকে শিক্ষা নিতে হয়।’’

Advertisement

আগামী অক্টোবরে ২৯ বছরে পা রাখতে চলেছেন হার্দিক। তিনি মনে করেন, গত চার বছর তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল। হার্দিকের কথায়, ‘‘যে ভাবে চার বছরে ঘটনা গড়িয়েছে, তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমার কাছে বিশাল শিক্ষণীয় ছিল এই চার বছরের সময়টা।’’

ফিনিশারের কাজ নিয়ে হার্দিকের বক্তব্য, শেষের দিকের ব্যাটসম্যান বা ফিনিশারের ম্যাচ শেষ করে আসার দক্ষতা থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ দিয়ে হার্দিক বলেছেন, ‘‘ধরুন আপনি একটা রেস্তরাঁয় গেলেন। খাবার দারুণ ছিল। কিন্তু শেষটা জমল না। তা হলে তো অভিজ্ঞতাটা খারাপই থেকে যাবে, তাই না! খেলাতেও তাই। দল যতই শক্তিশালী হোক, ম্যাচ জেতার যত কাছেই আপনি আসুন, যদি ফিনিশার বা নীচের সারির ব্যাটসম্যানরা খেলাটা শেষ না করতে পারে, ব্যাপারটা সম্পূর্ণ হয় না।’’

হরভজন সিংহ মনে করেন, ক্যাপ্টেন কুলের ছায়া দেখা যাচ্ছে ভারতীয় অলরাউন্ডারের মধ্যে। একটি চ্যানেলে হরভজন বলেছেন, ‘‘প্রচুর পরিশ্রম করে এই জায়গায় এসেছে ও। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার যাবতীয় রসদ আছে হার্দিকের মধ্যে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement