হরভজন সিংহ ফাইল চিত্র
জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১৭ বছর। কিন্তু কখনও অধিনায়ক হতে পারেননি হরভজন সিংহ। তাঁর নামও কখনও আলোচনায় উঠে আসেনি। এর জন্য জাতীয় নির্বাচকদেরই দোষ দিলেন ভাজ্জি। ২০১৫ সালে দল থেকে বাদও পড়তে হয়েছিল। তার জন্য অনেকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে দায়ী করলেও এ ক্ষেত্রে হরভজনের তোপের মুখে পড়লেন তৎকালীন নির্বাচকরা।
ভারতের এই প্রাক্তন অফস্পিনার ধোনিকে দোষ দিতে চান না। একটি ওয়েব সাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ধোনির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভাল। আমার সঙ্গে তো আর ওর বিয়ে হয়নি। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, ২০১২ সালের পর অনেক কিছুই ঘটেছে, যেগুলো না হলেই ভাল হত। বীরেন্দ্র সহবাগ, আমি, যুবরাজ সিংহ, গৌতম গম্ভীর ভারতের হয়ে খেলতে খেলতেই অবসর নিতে পারতাম। কারণ তখনও আমরা আইপিএল খেলছি। ভাবলে অবাক লাগে, ২০১১ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটা তার পর আর কখনও এক সঙ্গে খেলেনি। পরের বিশ্বকাপে হাতে গোনা কয়েক জন খেলেছিল। কেন এটা হবে?’’
তার মানে তো ধোনির দিকেই আঙুল তুলছেন হরভজন। কিন্তু তা মানছেন না। বলেন, ‘‘এমএস-এর বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। বরং আমরা খুব ভাল বন্ধু। আমার রাগ বোর্ডের উপর। তখনকার সরকারের উপর। বিসিসিআই-কে আমি সরকারই বলতাম। সেই সময়ে নির্বাচকরা নিজের কাজটা ঠিক মতো করতে পারেননি। ওঁরা দলটাকে এক হতে দেননি। যখন সিনিয়ররা খেলছে এবং দলকে জেতাচ্ছে, তখন তো জোর করে তরুণদের দলে নেওয়ার কোনও মানে হয় না। এই নিয়ে নির্বাচকদের প্রশ্ন করেছিলাম। জবাব ছিল, এটা ওঁদের হাতে নেই। তখন জিজ্ঞেসই করে ফেলেছিলাম, তা হলে আপনারা নির্বাচক হিসেবে রয়েছেন কী করতে?’’
এখনও অভিমান যায়নি হরভজনের। ফাইল চিত্র
কখনও অধিনায়ক হতে না পারার জন্য হরভজন দোষ দিয়েছেন বোর্ডকে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বোর্ডে তখন এমন কেউ ছিল না যে আমার হয়ে গলা ফাটাত। দেশের অধিনায়ক হতে গেলে এটার দরকার হয়। ক্ষমতায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের প্রিয় না হলে এই সম্মান পাওয়া যায় না। আমি জানি দেশের অধিনায়কত্ব করার ক্ষেত্রে আমি কতটা যোগ্য। যাই হোক, এখন আমার এই নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই।’’