গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ছবি: পিটিআই।
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিশ্বকাপে। বুধবার দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়া বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচেও দেখা দিল বিতর্ক। দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্যে দ্বিতীয় ইনিংসের জলপানের বিরতির সময়ে আলোর খেলা এবং কারিকুরির ব্যবস্থা রেখেছিলেন আয়োজকেরা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তার তীব্র প্রতিবাদ করলেন। তবে আয়োজকেরা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার আর এক ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারের সমর্থন।
নেদারল্যান্ডস ম্যাচে রেকর্ড করেছেন ম্যাক্সওয়েল। দ্রুততম শতরানের রেকর্ড রয়েছে তাঁর নামের পাশে। ৪০ বলে শতরান করেছেন তিনি। পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসেও একাধির নজির রয়েছে তাঁর নামের পাশে। সেই ম্যাক্সওয়েলই এই কথা বলায় অনেকেই নড়েচড়ে বসেছেন। কারণ, ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসের মাঝেই ঘটনাটি ঘটেছে। তখনও তাঁর শতরান হয়নি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট ম্যাচে, বিশেষত টি-টোয়েন্টি লিগগুলিতে এ রকম আলোর খেলা দেখা যায়। ফ্লাডলাইটের আলো নিভিয়ে লেজ়ার শোয়ের কেরামতি, বা ফ্লাডলাইটের আলোগুলিকে জ্বালিয়ে-নিভিয়ে মোহময়ী পরিবেশ তৈরি করা হয়। দর্শকেরাও নিজেদের মোবাইলে ফ্ল্যাশ আলো জ্বালিয়ে এই পরিবেশে শামিল হন। ধর্মশালায় এ ধরনের আলোর শো সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। দিল্লিতেও ভারত-সহ আগের ম্যাচগুলিতে এ রকম আলোর খেলা দেখা গিয়েছে। তেমন ভাবেই বৃহস্পতিবারও তা দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আলোর খেলার চলার সময়ে ম্যাক্সওয়েলকে দেখা গিয়েছিল হাত দিয়ে চোখ ঢেকে রাখতে।
ম্যাচের পর তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করাতে বিরক্তি উগরে দেন। বলেন, “ক্রিকেটারদের জন্যে সবচেয়ে বড় নির্বোধের মতো ভাবনাচিন্তা এটা। ম্যাচের মাঝে হঠাৎ করে আলো নিভিয়ে দেওয়ার পর তা জ্বালানোয় চোখের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। আমার মনে আছে পার্থ স্টেডিয়ামে একটা খেলায় এ ভাবেই আলোর শোয়ের পর একটা উইকেট হারিয়েছিলাম। চোখকে আবার স্বাভাবিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেকটা সময় লেগেছিল আমার। মনে হচ্ছিল যন্ত্রণায় মাথা ছিড়ে যাচ্ছে। তাই জন্যে এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমি চোখ ঢেকে রাখি। তবে আমার মতে এটা খুব, খুব খারাপ একটা ভাবনা।”
ম্যাক্সওয়েলের কথার বিরোধিতা করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি টুইটারে লিখেছেন, “আমার তো আলোর শো-টা দারুণ লেগেছে। কী অসাধারণ পরিবেশ! সমর্থকদের জন্যেই সব কিছু। আপনারা না থাকলে আমরা যেটা করতে ভালবাসি সেটা করতেই পারতাম না।”