শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
চোটের জন্য গত বছর আইপিএল খেলতে পারেননি শ্রেয়স আয়ার। তাঁর পরিবর্তে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নীতীশ রানা। এ বার সুস্থ শ্রেয়স বিশ্বকাপে অনবদ্য পারফর্ম করেছেন। আইপিএল খেলবেন কলকাতার হয়ে। তিনিই কি আবার দলকে নেতৃত্ব দেবেন? না কি দায়িত্বে থাকবেন নীতীশই? এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কেকেআর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে কেকেআর শিবিরে।
কেকেআর শিবিরে মেন্টর হিসাবে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। কলকাতাকে দু’বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে দল গঠন থেকে অধিনায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে। ১৯ ডিসেম্বরের নিলামে চার জন বিদেশি-সহ ১২ জন ক্রিকেটার নেওয়ার সুযোগ রয়েছে কলকাতার সামনে। ৩২ কোটি ৭ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ। আগামী আইপিএলে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে শ্রেয়স কিছুটা এগিয়ে থাকলেও নিলামের পর সম্পূর্ণ দল দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ।
ঘরোয়া ক্রিকেটে গম্ভীর এবং নীতীশ দু’জনেই দিল্লির ক্রিকেটার। গম্ভীরের কোচ সঞ্জয় ভরদ্বাজের কাছেই খেলা শিখেছেন নীতীশ। দিল্লিতে ভরদ্বাজের এলবি শাস্ত্রী ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে দু’জনে একসঙ্গে অনুশীলনও করেছেন বহু দিন। ক্রিকেট মহলে গম্ভীরের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত নীতীশ। স্বভাবতই কেকেআরের অধিনায়ক হিসাবে নীতীশকে আবার বেছে নিতে পারেন গম্ভীর। নীতীশের পক্ষে গম্ভীরের যুক্তি হতে পারে, দলের সেরা ব্যাটার শ্রেয়সের উপর বাড়তি চাপ না দিয়ে তাঁকে খোলা মনে খেলতে দেওয়া হোক। যদিও নীতীশ এখন খেলেন উত্তরপ্রদেশের হয়ে। তাঁর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের আইপিএলে কেকেআরের ফলও ভাল হয়নি।
অন্য দিকে, কেকেআরে যোগ দেওয়ার আগে শ্রেয়স আইপিএল খেলেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার অভিজ্ঞতা এবং ক্রিকেটীয় দক্ষতায় নীতীশের থেকে এগিয়ে। যা উপেক্ষা করা কঠিন কেকেআর শিবিরের পক্ষে। তা ছাড়া দিল্লি ঋষভ পন্থকে অধিনায়ক করাতেই কিছুটা অভিমানে দল ছেড়েছিলেন সিনিয়র শ্রেয়স। দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটারকে ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছিল কেকেআর। এখনও আবার তাঁকে নীতীশের নেতৃত্বে খেলতে বলা হলে নতুন সমস্যা তৈরি হতে পারে। অসন্তুষ্ট হতে পারেন মুম্বইয়ের ব্যাটার।
কেকেআর কর্তৃপক্ষ অবশ্য ২০২৪ সালের অধিনায়ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। সূত্রের খবর, ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কর্তৃপক্ষ ১৯ ডিসেম্বরের নিলামের পর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত এবং মেন্টর গম্ভীরের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সব দিক খতিয়ে দেখে অধিনায়ক নির্বাচন করবে। কোচের ভোট শ্রেয়সের পক্ষে গেলেও গম্ভীরের সমর্থন নীতীশের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সব মিলিয়ে কেকেআর শিবিরের অন্দরে অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে কিছুটা জটিলতা।