চার বছর পরে পাকিস্তান দলে সুযোগ পেয়েছেন সরফরাজ আহমেদ। সুযোগ পেয়েই শতরান করেছেন তিনি। —ফাইল চিত্র
চার বছর পরে দলে ফিরে শতরান করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, টেস্টে ২০১৪ সালের পরে আবার শতরান এসেছে তাঁর ব্যাটে। প্রত্যাবর্তনের পরে চারটি ইনিংসেই ভাল খেলেছেন সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু তার পরেও কি পাকিস্তান দলে জায়গা পাকা নয় সরফরাজের? আবার কি দলের বাইরে চলে যেতে হবে তাঁকে?
সরফরাজকে দলে ফিরিয়েছেন প্রধান নির্বাচক শাহিদ আফ্রিদি। কিন্তু তিনি নিজেই জানাচ্ছেন, দলের এক নম্বর উইকেটরক্ষক মহম্মদ রিজ়ওয়ান। তাই সরফরাজ টেস্টে সুযোগ পেলেও সাদা বলের ক্রিকেটে উইকেটরক্ষক হিসাবে রিজওয়ান খেলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। টেস্ট শেষে সাংবাদিক বৈঠকে শাহিদ বলেছেন, ‘‘সরফরাজের প্রত্যাবর্তনে আমি খুব খুশি। ও খুব ভাল খেলেছে। কিন্তু এক দিনের ক্রিকেটে ও টি-টোয়েন্টিতে আমাদের এক নম্বর উইকেটরক্ষক রিজ়ওয়ান। যদি ও কোনও কারণে চোট পায় বা ক্লান্ত থাকায় বিশ্রাম দেওয়া হয় তখনই অন্য কেউ সুযোগ পাবে। আমাদের মাথায় রাখতে হবে লাল ও সাদা বলের ক্রিকেট এক নয়।’’ আফ্রিদির কথাতেই স্পষ্ট, জায়গা এখনও পাকা হয়নি সরফরাজের। আরও কঠিন পরীক্ষা দিতে হতে পারে তাঁকে।
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সরফরাজের ১১৮ রান দলকে জেতাতেও পারত। যখন খেলা বন্ধ হয় তখন পাকিস্তানের জিততে দরকার ছিল ১৫ রান। যে ভাবে সরফরাজ রান তাড়া করেছেন তার প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজ়ম। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা চায়ের বিরতি পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলাম। তার পর জেতার জন্য খেলছিলাম। সরফরাজ ভাই সে ভাবেই ব্যাটিং করছিল। সঙ্গে সাউদ শাকিলও খেলছিল। আর একটু হলেই আমরা জিতে জেতাম।’’
বাবরের মতে, রানের খিদে থাকার জন্যই এত বছর পরে ফিরে ভাল খেলছেন সরফরাজ। তাঁর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকায় তাঁর অধিনায়কত্ব করতেও সুবিধা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাবর। পাক অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন হয়েছে সরফরাজ ভাইয়ের। দলের বাইরে থেকেও রানের খিদে মরতে দেয়নি বলেই সরফরাজ ভাই আবার পাকিস্তানের হয়ে খেলছে। নিজের কাজটা করে গিয়েছে। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করেছে। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই সরফরাজ ভাই আবার সুযোগ পেয়েছে। ও থাকায় আমারও সুবিধা হচ্ছিল। অনেক পরামর্শ পাচ্ছিলাম।’’
আর যাঁকে নিয়ে এত কথা সেই সরফরাজ নিজের প্রত্যাবর্তন নিয়ে কী বলছেন? তিনি ধন্যবাদ দিচ্ছেন অধিনায়ক বাবরকে। সরফরাজ বলেছেন, ‘‘একটা সুযোগ চেয়েছিলাম। সেটা পেয়েছি। শুরুতে একটু ভয় হচ্ছিল। কিন্তু বাবর এসে বলল, শুধু নিজের খেলা খেলতে। সেটাই করেছি। ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস চলে আসে। আবার দেশের হয়ে খেলতে পেরেছি। এটাই আমার কাছে আনন্দের।’’
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক সরফরাজ। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৭ সালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল পাকিস্তান। এ দিকে গত কয়েকটি সিরিজ় থেকে বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে কি সরফরাজকে আবার অধিনায়কত্বের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল সরফরাজকে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘‘এখন বাবর অধিনায়ক। যত ক্ষণ বাবর অধিনায়ক তত ক্ষণ আমাদের উচিত ওকে সাহায্য করা। এ সব ভাবার কোনও প্রয়োজন নেই।’’