হাসপাতালে গাই হুইটাল। ছবি: ফেসবুক।
আরও এক বার সাক্ষাৎ মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরলেন গাই হুইটাল। জ়িম্বাবোয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে আক্রমণ করল চিতাবাঘ। পোষ্য কুকুরের সাহায্যে কোনও মতে বেঁচে ফিরলেন তিনি। কিন্তু মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন হুইটাল। এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে হুইটালের স্ত্রী হানার সমাজমাধ্যমের পোস্টের সৌজন্যে। রক্তাক্ত হুইটালের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
জ়িম্বাবোয়েতে সাফারির ব্যবসা রয়েছে হুইটালের। তুরগে এবং সেভ নদীর মাঝে একটি জায়গায় ব্যবসা চালান। সেই কাজেই বেরিয়েছিলেন। আচমকা তাঁকে আক্রমণ করে একটি চিতাবাঘ। চেষ্টা করলেও সহজে তার হাত থেকে ছাড়া পাননি হুইটাল। পোষ্য কুকুর চিকারা তাঁকে বাঁচাতে যায়। চিতাবাঘের কামড় খায় সে-ও। কিন্তু দু’জনেই বেঁচে গিয়েছে। হুইটালকে প্রথমে বাফেলো রেঞ্জে ফিরিয়ে আনা হয়। তার পর এয়ারলিফ্ট করে হারারের মিল্টন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় হুইটালের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
ইংল্যান্ডের ‘ডেইলি মেল’ ওয়েবসাইটে হুইটালের স্ত্রী হানা বলেছেন, “খুব ভাগ্যবান মানুষ ও। প্রথমে কুমির, আর এখন চিতা। ও ভাগ্যবান যে চিকারা ওর সঙ্গে ছিল। হুইটালকে সাহায্য করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। না হলে কী হত আমরা কেউ জানি না। পুরস্কার হিসাবে চিকারাকে অতিরিক্ত মাংস খেতে দেওয়া হবে। আপাতত ওর গায়ে কেটে-ছড়ে যাওয়ার অনেক চিহ্ন রয়েছে। তবে সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে। আপাতত গাই হাসপাতালে শুয়ে সবাইকে শোনাচ্ছে কী ভাবে চিতাবাঘের মুখোমুখি হয়েছিল ও।”
এই প্রথম নয়, ২০১৩ সালে আরও একটি ভয়ঙ্কর ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন হুইটাল। তাঁর বিছানার নীচে সারা রাত শুয়েছিল একটি কুমির। সকালে উঠে সেই কুমিরের উপস্থিতি টের পান হুইটাল। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর হইচই পড়ে যায়।
দেশের হয়ে প্রায় দশ বছর খেলেছেন হুইটাল। ৪৬টি টেস্ট এবং ১৪৭টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর দ্বিশতরান এখনও অনেকের চোখে ভাসে।