বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোটা টেস্ট সিরিজ়েই পাওয়া গেল না বিরাট কোহলিকে। ২০১১ সালে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। এই ১৩ বছরে বিরাটকে খুব কম টেস্টেই দলের বাইরে বসতে দেখা গিয়েছে। তাঁর মতো ব্যাটারকে বাদ পড়তেও হয়নি, চোটের কারণে কখনও বসতেও হয়নি। বিরাটের ১৩ বছরের টেস্ট কেরিয়ারে এই প্রথম ঘরের মাঠে গোটা সিরিজ়ে নেই তিনি।
২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল বিরাটের। পরের সিরিজ়েই বাদ পড়েন তিনি। বাদ পড়ার অন্যতম কারণ ছিল রান না পাওয়া। সেই সঙ্গে বীরেন্দ্র সহবাগ, গৌতম গম্ভীর এবং সচিন তেন্ডুলকরকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ়ে ফেরানো হয়েছিল। তাই জায়গা হয়নি বিরাটের। সেই শেষ। তার পর থেকে আর কখনও একাধিক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ় বিরাটহীন হয়নি। ২০১৮ সালে একটি ম্যাচের সিরিজ় ছিল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচটিতে খেলেননি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
টেস্ট অভিষেকের পর থেকে মাত্র ১৩টি টেস্টে খেলেননি বিরাট। ২০১২ সাল থেকে মাত্র সাতটি টেস্টে খেলেননি তিনি। খেলেছেন ১০৮টি টেস্টে। চূড়ান্ত ফিট বিরাট। ধারাবাহিক ভাবে রানও করেছেন। টেস্টে বিরাট ১১৩টি ম্যাচে ৮৮৪৮ রান করেছেন। ২৯টি শতরান করেছেন তিনি। ভারত শুধু ব্যাটার হিসাবে তাঁর অভাব বোধ করবে তা নয়, ফিল্ডার বিরাটও টেস্টে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। টেস্টে ১১১টি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক ক্যাচ নেওয়ার তালিকায় চতুর্থ স্থানে বিরাট। রাহুল দ্রাবিড় (২১০), ভিভিএস লক্ষ্মণ (১৩৫) এবং সচিন তেন্ডুলকরের (১১৫) পরেই তিনি। বিরাট আর পাঁচটি ক্যাচ নিলেই টপকে যাবেন সচিনকে।