বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
আফসোস করছেন এবি ডিভিলিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক মনে করছেন তাঁর সময় যদি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম থাকত, তা হলে হয়তো এখনও খেলতেন তিনি। ৩৯ বছরের ডিভিলিয়ার্স মনে করছেন যে, তিনি এখনও খেলার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু মাত্র দু’মাসের জন্য খেলতে রাজি নন ডিভিলিয়ার্স।
২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হঠাৎ অবসর নিয়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স। তখন তাঁর বয়স ৩৪ বছর। ২০২১ সালে শেষ বার আইপিএলে খেলেছিলেন ডিভিলিয়ার্স। তিনি এখন আর ফিরতে রাজি নন। ডিভিলিয়ার্স বলেন, “আমি এখনও খেলতে পারি। কিন্তু ইচ্ছা নেই আর। ছোটবেলা থেকেই আমি এমন। নিজের সেরাটাই যদি মাঠে না দিতে পারি, তা হলে খেলব কেন? এখন খেলতে নামলে বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদবের মতো ক্রিকেটারের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে। কিন্তু চার বছর হয়ে গেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলি না। সেটাই আসল কারণ আমার না ফেরার। যতই অনুশীলন করি, ম্যাচ খেলাটা আলাদা। তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের যে নিয়ম এসেছে তাতে অনেক ক্রিকেটারের কেরিয়ার লম্বা হবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১১৪টি টেস্ট, ২২৮টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ডিভিলিয়ার্স। তিনি বলেন, “আমি বছরে দু’এক মাস খেলতে পারব না। সব সময় সেরা হতে চেয়েছি। সেটা ওই কয়েক মাস খেলে সম্ভব নয়। আমি হয়তো ন’মাস অনুশীলন করতে পারব। কিন্তু মাঠে নেমে খেলার সঙ্গে সেটার কোনও তুলনা হয় না। আমি এখন খেলতে নামলে হয়তো দু-একটা ভাল ইনিংসও খেলে দেব। কিন্তু আমি সেটা করতে চাই না। আমি সেরা হতে চাই।”
আইপিএলে বিরাট এবং ডিভিলিয়ার্সের বন্ধুত্ব হয়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে তাঁরা একসঙ্গে বহু ম্যাচ খেলেছেন। খেলা ছাড়ার পরেও সেই বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে। আইপিএলেই এ বছর থেকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম চালু হয়েছে। এই নিয়ম অনুযায়ী এখন যে কোনও একজন ক্রিকেটারকে ম্যাচের মাঝে বদলে ফেলা যায়।