ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছে ভারত। ট্রফি জেতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন সমর্থকেরা। তার মাঝেই ভারতীয় ক্রিকেটে বড় বিতর্ক তৈরি হল রবিবার। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কাছের বন্ধু ছিলেন না। ভারতের হয়ে একসঙ্গে খেলার সুবাদে যেটুকু বন্ধুত্ব প্রয়োজন সেটুকুই ছিল তাঁদের মধ্যে।
রবিবার একটি ভিডিয়োতে যুবরাজ বলেন, ‘‘আমি আর মাহি কাছের বন্ধু ছিলাম না। একসঙ্গে খেলতাম। সেই সুবাদে বন্ধুত্ব। ওর জীবনযাপন আমার থেকে আলাদা ছিল। কিন্তু আমরা যখন মাঠে নামতাম তখন দেশের জন্য ১০০ শতাংশের বেশি দিতাম। কিন্তু মাঠের বাইরে আমাদের তেমন বন্ধুত্ব ছিল না।’’
ধোনি যখন অধিনায়ক ছিলেন তখন সহ-অধিনায়ক ছিলেন যুবি। কিন্তু ভারতীয় দলে যুবরাজের অভিষেক আগে হয়েছিল। সেই কারণে কি কোনও মনোমালিন্য ছিল দু’জনের মধ্যে? মাঠের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে অনেক সময় মতপার্থক্য হত বলে জানিয়েছেন যুবরাজ। তিনি বলেন, ‘‘ধোনি অধিনায়ক ছিল। আমি ছিলাম সহ-অধিনায়ক। কিন্তু ওর থেকে চার বছরের সিনিয়র ছিলাম আমি। মাঠে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে মতপার্থক্য হত। ওর অনেক সিদ্ধান্ত আমার পছন্দ হত না। কিন্তু সে সব তো সব দলেই হয়ে থাকে।’’
যুবরাজের মতে, সতীর্থকে যে মাঠের বাইরেও বন্ধু হতে হবে তার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু দরকার পড়লে একে অপরের জন্য লড়তে হবে। সেই সম্পর্ক তাঁদের মধ্যে ছিল। যুবি বলেন, ‘‘মাঠের বাইরে সতীর্থ সব সময় কাছের বন্ধু হয় না। কিন্তু একে অপরের জন্য আমরা সব সময় ছিলাম। ধোনির চোট থাকলে আমি ওর হয়ে দৌড়তাম। এক বার ও ৯০ রানে ব্যাট করছিল। আমি চেষ্টা করছিলাম যাতে ওর শতরান হয়। ধোনিও সেটাই করত। এক বার আমি ৪৮ রানে ব্যাট করছিলাম। আমার যাতে অর্ধশতরান হয় তার জন্য ধোনি মারছিল না।’’
অবসরের সিদ্ধান্ত নিতেও তাঁকে ধোনি সাহায্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন যুবরাজ। তিনি বলেন, ‘‘আমার কেরিয়ারের শেষ দিকে আমি ধোনির সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ও আমাকে স্পষ্ট বলেছিল যে নির্বাচকেরা আর আমার কথা ভাবছে না। ধোনি আমাকে বাস্তব ছবিটা দেখিয়েছিল। সেই কারণে ওকে ধন্যবাদ।’’