মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। — ফাইল চিত্র।
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করছেন অম্বাতি রায়ডু। অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আট দিনের মাথায় দল ছেড়েছিলেন ক্রিকেটীয় দায়বদ্ধতার কারণে। এ বার একই রাজ্যের অন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। তার পরে যে বার্তা দিলেন তাতে সেই নেতার দলে যোগ দেওয়ার সব রকম ইঙ্গিত রয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের জনসেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণের সঙ্গে দেখা করেছেন রায়ডু। বুধবার সেই সাক্ষাৎ হয়েছে। তার পরে সমাজমাধ্যমের পোস্টে রায়ডু নিজেও সে কথা জানিয়েছেন। সঙ্গে লিখেছেন একটি বার্তাও। তাঁর কথায়, “হৃদয় এবং ইচ্ছা দিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষের সেবা করব বলে রাজনীতিতে এসেছিলাম। ওয়াইএসআরসিপি-তে যোগ দিয়ে ভেবেছিলাম আমার দৃষ্টি পূরণ হয়েছে। তার পরে অনেক গ্রামে ঘুরেছি এবং বহু মানুষের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করে ব্যক্তিগত ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছি। অনেক সামাজিক কাজ করেছি।”
এর পরে রায়ডু লিখেছেন, “কিছু কারণে আমি ওয়াইএসআরসিপি-র সঙ্গে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি। কাউকে দোষ দিতে চাই না। আমার আদর্শ এবং ওয়াইএসআরসিপি-র আদর্শ মিলছিল না। কোনও আসনে লড়াই করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু আমার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং বন্ধুরা বলেছিল পবন আন্নার সঙ্গে দেখা করতে। আমি দেখা করে অনেক ক্ষণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছি। ওঁকে বোঝার চেষ্টা করেছি। বলতে খুশি হচ্ছে যে দু’জনের আদর্শ মিলে গিয়েছে। আপাতত ক্রিকেট খেলতে দুবাই যাচ্ছি। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষের জন্য সব সময় রয়েছি।”
গত ৬ জানুয়ারি ওয়াইএসআরসিপি ছেড়েছিলেন রায়ডু। তার আট দিন আগেই যোগ দান করেছিলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ‘আদুধাম অন্ধ্র’ বলে ৪৫ দিনের একটি ক্রীড়া উৎসবের আয়োজন করেন। সেই উৎসবের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছিল রায়ডুকে। কিন্তু তার পরেও দল ছেড়ে দিলেন তিনি। রায়ডু সমাজমাধ্যমে লেখেন, “সকলকে জানাচ্ছি যে আমি ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছেড়ে দিচ্ছি। রাজনীতি থেকেও আপাতত দূরে থাকছি। সময়ের সঙ্গে বাকি কথা জানাব।”
অনেক দিন আগে থেকেই জানা গিয়েছিল যে রায়ডু ওয়াইএসআর কংগ্রেসে যোগ দেবেন। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ওয়াইএসআর কংগ্রেস সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানায় যে, রায়ডু তাদের দলে যোগ দিলেন। এই বছর আইপিএল খেলার পরেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্ধ্র এবং হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার হয়ে খেলেছিলেন রায়ডু।
দলে যোগ দেওয়ার আগেই রায়ডুকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। রায়ডু-সহ কয়েক জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রিসভা। তাঁদের রাজ্যের ক্রীড়া উৎসবের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর করা হয়েছিল। ৫১ দিন ধরে চলে সেই উৎসব। অংশগ্রহণের জন্য ১.১৪ কোটির বেশি নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। ১৫ বছরের বেশি বয়সিরা সেই উৎসবে অংশ নিয়েছিল। অন্ধ্রপ্রদেশের ক্রীড়া উৎসবের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে রায়ডু বলেছিলেন, ‘‘তরুণদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি অনুপ্রেরণা। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর আন্তরিকতা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।’’ কিন্তু সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।