রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে এক ফ্রেমে অজয় জাডেজা (বাঁ দিকে) ও সচিন তেন্ডুলকর। —ফাইল চিত্র।
ম্যাচ গড়াপেটায় নাম জড়িয়ে খেলা ছাড়তে হয়েছিল। ২০০০ সালে অবসর নিয়েছিলেন ক্রিকেট থেকে। তার পরও সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিকে টপকে বিশ্বের ধনীতম ক্রিকেটার হয়েছেন অজয় জাডেজা। কী ভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি?
এত দিন বিশ্বের ধনীতম ক্রিকেটার ছিলেন সচিন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৪২৮ কোটি টাকা। কোহলির সম্পত্তির পরিমাণ ১০০০ কোটি টাকা। এখন জাডেজার সম্পত্তির পরিমাণ ১৪৫০ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ, সকলকে টপকে গিয়েছেন তিনি।
খেলাধুলো থেকে আয় বাড়েনি জাডেজার। তিনি আসলে জামনগরের পরবর্তী রাজা হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁকে উত্তরাধিকারী হিসাবে বেছে নিয়েছেন বর্তমান রাজা শত্রুশল্যসিংহজি দিগ্বিজয়সিংহজি জাডেজা। তিনি সম্পর্কে প্রাক্তন ক্রিকেটারের কাকা হন। এখন যুবরাজ হয়েছেন জাডেজা। গুজরাতের জামনগর নওয়ানগর নামেও পরিচিত। নগরের রাজাকে বলা হয় ‘জাম’। তা থেকেই জামনগর (জামের নগর) নাম এসেছে। যোগ্যতম উত্তরাধিকারী হিসাবে জাডেজাকে বেছে নিয়েছেন দিগ্বিজয়সিংহজি। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘দশেরার উৎসব পাণ্ডবদের নির্বাসন থেকে বিজয়ী হওয়ার দিনকে চিহ্নিত করে। আজকের দশেরার দিনে আমিও খুব খুশি। আমার একটি সমস্যা সমাধান করার জন্য অজয় জাডেজাকে ধন্যবাদ। ও আমার উত্তরাধিকারী হতে রাজি হয়েছে। জামনগরের জনগণের সেবা করার দায়িত্ব নিতে অজয়ের রাজি হওয়া এখানকার মানুষের জন্য আশীর্বাদ। আমি ওর কাছে আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ।’’
জাডেজাদের পরিবারের সঙ্গে রাজনীতি এবং ক্রিকেটের সম্পর্ক সুপ্রাচীন। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রঞ্জি ট্রফি এবং দলীপ ট্রফির নামকরণ হয়েছে তাঁদের বংশেরই কে রঞ্জিতসিংহজি এবং কেএস দলীপসিংহজির নামে। জাডেজার বাবা দৌলতসিংহজি জাডেজা জামনগর থেকে তিন বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
৫৩ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার দেশের হয়ে ১৫টি টেস্ট এবং ১৯৬টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৯২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। এক দিনের ক্রিকেটে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত থাকার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।