মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
মাঠে ঠান্ডা মাথার জন্য ‘ক্যাপ্টেন কুল’ বলা হত তাঁকে। কোনও পরিস্থিতিতেই বোঝা যেত না কী চলছে তাঁর মনে। সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও মাথা গরম করে ফেলেছিলেন। তাঁর সঙ্গে চোখ মেলাতে ভয় পাচ্ছিলেন সতীর্থেরা। কেন এমনটা ঘটেছিল?
চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন সুব্রহ্মন্যম বদ্রীনাথ। তিনি দেখেছিলেন ধোনির রাগ। ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হার মানতে পারেননি চেন্নাইয়ের অধিনায়ক। আইপিএলে চেন্নাই বনাম বেঙ্গালুরুর লড়াই বরাবরই নজর কাড়ে। সেই কারণেই হয়তো বিরাট কোহলিদের কাছে হার বড় ধাক্কা দিয়েছিল তাঁকে।
একটি সাক্ষাৎকারে বদ্রীনাথ বলেন, “ধোনিও মানুষ। ধোনিও মাথা গরম করে। কিন্তু মাঠে নয়, সাজঘরে। আমার মনে হয় ও প্রতিপক্ষ বা সমর্থকদের দেখতে দেয় না যে ও রেগে গিয়েছে। যদি কোনও কারণে ধোনি রেগে যায় তা হলে সেটা বোঝা যায় সাজঘরে।”
বেঙ্গালুরুর কাছে হারের পরে সতীর্থেরা ধোনির রাগ দেখেছিলেন। বদ্রীনাথ বলেন, “আমার মনে আছে, বেঙ্গালুরুকে আমরা ১১০ রানে অল আউট করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সে দিন আমাদের ব্যাটিং ভাল হয়নি। সেই রানও আমরা তাড়া করতে পারিনি। অনিল কুম্বলের বিরুদ্ধে উইকেটের পিছনে খেলতে গিয়ে আমি আউট হয়েছিলাম। আমার মনে আছে সাজঘরে ফেরার সময় ধোনি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল।”
ম্যাচ শেষে সাজঘরে ধোনিকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল তিনি কতটা রেগে গিয়েছিলেন। কাউকে আলাদা করে ধোনি কিছু বলেননি। নিজের কাজে সবটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। বদ্রীনাথ বলেন, “ধোনির সামনে একটা জলের বোতল ছিল। ও লাথি মেরে সেটা সাজঘরের বাইরে ফেলে দিয়েছিল। কেউ ওর চোখের দিকে তাকাতে পারছিল না। ও কাউকে কিছু বলেনি। কোনও আলোচনা হয়নি। কিন্তু ওর শরীরী ভাষা বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে ও কতটা রেগেছে। আমরা চুপ করে বসেছিলাম।”
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন ধোনি। কিন্তু এখনও খেলছেন তিনি। এ বারই হয়তো শেষ বার ধোনিকে আইপিএলে দেখা যাবে। আরও এক বার হয়তো দলকে চ্যাম্পিয়ন করে ছাড়তে চান তিনি।