সচিনের শুভেচ্ছা। —ফাইল চিত্র
বয়স ১৩ বছর। এর মধ্যেই সে জিতে নিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৬ বিশ্ব যুব ব্রিজ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই জয়ের আগে সচিন তেন্ডুলকরের ফোন পেয়েছিল অংশুল ভট। সাহস দিয়েছিলেন ভারতের ক্রিকেট তারকা। তাতেই তিনটি সোনা জয় অংশুলের।
অংশুল সেই সময় ইটালিতে। হোটেলের ঘরে হঠাৎ তাঁর ফোন বেজে ওঠে। অচেনা নম্বর। কিন্তু ফোন ধরতেই অতি পরিচিত কণ্ঠস্বর। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অংশুল বলে, “আমার সঙ্গে কখনও ওঁর দেখা হয়নি। ফোনেই আমাকে বুঝিয়েছিলেন কী ভাবে চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করেন উনি।”
একাধিক বড় ম্যাচের চাপ সামলেছেন সচিন। জানেন কঠিন ম্যাচের আগে কী ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়। সেটাই ভাগ করে নেন অংশুলের সঙ্গে। চাপ কাটিয়ে ফেলে অংশুল। প্রথমে সোনা জেতে ব্রিজের পেয়ার্স ইভেন্টে। তিন দিন পর চার জনের দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সোনা জয়। গোটা প্রতিযোগিতায় ভাল খেলার জন্য আরও একটি সোনা। মোট তিনটি সোনার পদক জিতে নেয় অংশুল।
সচিনের শ্বশুর আনন্দ মেহতা ব্রিজ খেলোয়াড়। সাত বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন তিনি। তাঁর জামাইয়েরও যে এই খেলা সম্পর্ক আগ্রহ রয়েছে তা বোঝা গেল অংশুলকে করা ফোন থেকে। প্রথম এবং দ্বিতীয় সোনার মাঝে ফের ফোন করেছিলেন সচিন। অংশুল বলে, “উনি ফোন করে উপদেশ দেন, সোনা জয়ের আত্মবিশ্বাসটা নিয়ে পরের ইভেন্টে নামতে। সেই সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দেন যে নতুন একটা ইভেন্টে খেলতে নামছি।”
মাত্র চার বছর বয়স থেকে তাস খেলে অংশুল। দাদুর সঙ্গে খেলত সে। ছ’বছর বয়সে তাঁকে ভর্তি করে দেওয়া এক কোচের কাছে। সেই সময় অংশুলকে টেবিলের বসিয়ে দেওয়া হত। কারণ চেয়ারে বসলে কোচের সঙ্গে উচ্চতার তফাত হত তার। চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন। ব্রিজ খেলাতেই পুরোপুরি মনোযোগ দেয় অংশুল। সেই অভ্যেস এখনও রয়েছে তার।
অংশুলের বাবা মেহুল বলেন, “সাইডলাইন থেকে আমি যে খুব বেশি সাহায্য করতে পারি তা নয়। ও যখন কোনও প্রতিযোগিতায় খেলে আমি ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকি। অফিসের কাজ করি। জরুরি ফোন সেরেনি।” অংশুল যদিও তা মানতে চায়নি। তার অভিযোগ, “বাবা আমাকে ফেলে অন্য এক প্রতিযোগীর বাবার সঙ্গে ঘুরতে চলে গিয়েছিল। বাইরে গিয়ে ভাল ভাল খাওয়া দাওয়া করেছে। ফেরার সময় শুধু চিজ নিয়ে এসেছিল। সেটাও শুধু আমার জন্য নয়, গোটা পরিবারের জন্য।”