(বাঁ দিক থেকে) রবি শাস্ত্রী এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ভারতের প্রথম চার ব্যাটার ২০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। পরের দিকে নেমে শার্দূল ঠাকুর, রবীন্দ্র জাডেজারা রান করে গেলেন ওভালের পিচে। অস্ট্রেলিয়ার ৪৬৯ রানের জবাবে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের রান না পাওয়াই ভারতের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে দিল। শার্দূলদের দেখে বিরাটদের শেখা উচিত বলে মনে করেন রবি শাস্ত্রী, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রাও।
ভারতের প্রথম চার ব্যাটার শুভমন গিল (১৩), রোহিত শর্মা (১৫), চেতেশ্বর পুজারা (১৪) এবং বিরাট কোহলি (১৪)। তাঁরা রান না পাওয়ায় ভারতের বিপদ হয়ে গিয়েছে। জাডেজা ৪৮ রান করে আউট হন। শার্দূল ঠাকুর এবং অজিঙ্ক রাহানে ১০০ রানের জুটি গড়ে ফেলেছেন। তাঁদের এই লড়াই আরও কাজে লাগত শুরুর দিকের ব্যাটাররা রান পেলে। শাস্ত্রী বলেন, “ভারতের উপরের দিকের ব্যাটারদের আয়নায় নিজেদের মুখ দেখা উচিত। লোয়ার অর্ডারে নামা ব্যাটাররা রান করে যাচ্ছে। এটা ঠিক না।” সায় দেন সৌরভ। তিনি বলেন, “লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের কাজ রানটাকে আরও বেশি বাড়িয়ে দেওয়া। তাদের যদি রানটা করতে হয় তা হলে মুশকিল। শুরুর দিকের ব্যাটাররা রান করে দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেবে আর নীচের দিকের ব্যাটাররা সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই জন্যই তো এমন কিছু ক্রিকেটারকে রাখা হয়, যারা নীচের দিকেও ব্যাট করে দলকে সাহায্য করতে পারবে।”
ভারতের প্রথম চার উইকেট চলে যায় ৭১ রানে। সেখান থেকে জাডেজা এবং রাহানে ৭১ রানের জুটি গড়েন। জাডেজা আউট হয়ে গিয়েছিলেন দ্বিতীয় দিনেই। তৃতীয় দিনের শুরুতে শ্রীকর ভরত আউট হয়ে যান মাত্র পাঁচ রান করে। সেখান থেকে শার্দূল এবং রাহানে মিলে জুটি গড়তে শুরু করেন। তাঁরা ভারতকে কিছুটা স্বস্তি দেন। কিন্তু প্রথম দিকের ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢাকা কঠিন হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ৪৬৯ রানের জবাবে।