সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় চেয়েছিলেন ভোটে লড়ে বাংলার ক্রিকেট প্রশাসকের পদে ফিরে আসতে। কিন্তু সিএবি-তে নির্বাচনটাই হল না। সৌরভও দাঁড়ালেন না সভাপতি পদের জন্য। সিএবি প্রধান হলেন তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।
সংস্থার বিভিন্ন দায়িত্বে থাকছেন অমলেন্দু বিশ্বাস, নরেশ ওঝা, প্রবীর চক্রবর্তী, এবং দেবব্রত দাস। রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ সিএবিতে আসেন সৌরভ। নিজের ঘরে চলে যান তিনি। সেই ঘরে অভিষেক ডালমিয়া, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, দেবব্রত দাসরা যান। বেশ কিছু ক্ষণ আলোচনা চলে সেখানে। যদিও শেষ পর্যন্ত সিএবির কোনও পদেই দাঁড়ালেন না সৌরভ। ২০১৫ সালে জগমোহন ডালমিয়ার পর সিএবি সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়েছিলেন। এই বছর সেখানে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। সৌরভের জায়গায় বোর্ডের সভাপতি হন রজার বিন্নী। সমর্থকরা ভেবেছিলেন আইসিসিতে যেতে পারেন সৌরভ। কিন্তু ভারতীয় বোর্ডের তরফে কাউকে আইসিসিতে পাঠানোই হয়নি।
সভাপতি স্নেহাশিসের সঙ্গে সহ-সভাপতি পদে অমলেন্দু বিশ্বাস। সচিব নরেশ ওঝা, কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী, যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস।
গত শনিবার যদিও সৌরভ বলেছিলেন, “হ্যাঁ, আমি নির্বাচনে লড়তে চলেছি। আগামী ২২ অক্টোবর মনোনয়ন জমা দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। পাঁচ বছর আমি সিএবি-তে ছিলাম। লোধা কমিটির নিয়ম অনুযায়ী আরও চার বছর থাকতে পারব। ২০ তারিখের মধ্যে নিজের প্যানেল তৈরি করে ফেলতে পারব বলে আশা করছি।” সৌরভ সে দিন ইডেন গার্ডেন্সে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ইদানীং যে কুৎসা চলছে তাঁর জবাব দিতেই নির্বাচনে লড়তে চলেছেন।
শনিবার অর্থাৎ ২২ অক্টোবর সৌরভ সিএবিতে আসেন। কিন্তু সন্ধে ৬টা নাগাদ। নিয়ম অনুযায়ী বিকেল ৫টার মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়া যেত। সেই সময় পার করেই সিএবিতে এসেছিলেন সৌরভ। তিনি বলেছিলেন, “রবিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় আছে। দেখা যাক কী হয়।”