শাকিব আল হাসান। ছবি: এক্স (টুইটার)।
শাকিব আল হাসানের ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না। দেশের মাটিতে খেলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়কের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দলে শাকিবকে রাখা হলেও তিনি ম্যাচ খেলার জন্য দেশে ফিরতে পারছেন না।
ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলে শাকিব নিউ ইয়র্কের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলার জন্য তিনি বুধবার দুবাইয়ে পৌঁছন। বৃহস্পতিবার তাঁর ঢাকায় পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু ঢাকার বিমান ধরার আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে তাঁকে দুবাইয়ে অপেক্ষা করার বার্তা দেওয়া হয়। শাকিব বলেছেন, ‘‘আমি জানি না এর পর কোথায় যাব। তবে এটা প্রায় নিশ্চিত আমি বাড়ি ফিরতে পারব না।’’ অন্য দিকে, বাংলাদেশের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘‘কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আমি শাকিবকে বাংলাদেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছি। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, কানপুর টেস্টে আগে শাকিব বলেছিলেন, মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলে অবসর নিতে চান। না হলে কানপুরই হবে তাঁর শেষ টেস্ট।
আগে প্রশাসনের পক্ষে মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হলেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শাকিবের পক্ষে নেই। প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে তাঁর নাম একটি খুনের মামলায় জড়িয়েছে। সেই মামলার জন্যই আইনি সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে শাকিবের। বাংলাদেশের তদারকি সরকার প্রশাসনিক ভাবে ব্যক্তি শাকিবকে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেয়নি। বাংলাদেশের আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘‘মামলা বা এফআইআর হওয়া মানেই গ্রেফতার নয়। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে কেউ অতি উৎসাহিত হয়ে গ্রেফতার করতে না যায়। আশা করি, শাকিব গ্রেফতার হবে না।’’
তবে টেস্টের পর শাকিব নিরাপদে দেশ ছাড়তে পারবেন, এমন কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি। আইনি বিষয় বলে কোনও পক্ষই আশ্বাস দিতে চায়নি। তাই বাংলাদেশে ফিরলে শাকিবের আইনি সমস্যায় পড়ার সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। তা ছাড়া, বাংলাদেশের মানুষের একটা বড় অংশও তাঁর উপর ক্ষুব্ধ। জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকে দেশে ফেরেননি শাকিব। আন্দোলনের পক্ষে সে সময় তিনি কোনও বার্তাও দেননি। কিছু দিন আগে সে জন্য দেশবাসীর কাছে অবশ্য ক্ষমা চান শাকিব। তাতেও পরিস্থিতি অনুকূল নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।