২০০১ সালের টেস্ট সিরিজ়ে দ্রাবিড়ের সঙ্গে স্ল্যাটারের দুর্ব্যবহারের সেই ঘটনা। —ফাইল চিত্র।
ভয় দেখানো, রাতে হামলা, শারীরিক ক্ষতির চেষ্টা, শ্বাসরোধ করার চেষ্টা-সহ দেড় ডজনের বেশি অভিযোগে অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইকেল স্ল্যাটার। অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
ধৃত ক্রিকেটারকে সোমবার প্রথম আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সে দিন বিচারক তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তিনি পাল্টা জামিনের আবেদন করেছিলেন। তাই মঙ্গলবার আবার তাঁকে কুইন্সল্যান্ড আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিন আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কোনও বিপত্তি অবশ্য হয়নি। চিকিৎসার পর সুস্থ হলে আদালতের শুনানি শুরু হয়। বিচারক অভিযুক্ত প্রাক্তন ক্রিকেটারের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন।
গত বছর ৫ ডিসেম্বর থেকে গত ১২ এপ্রিল পর্যন্ত স্ল্যাটারের বিরুদ্ধে মোট ১৯টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রতিবেশীদের নানা ভাবে বিরক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিশেষ করে মহিলাদের সঙ্গে অপমানজনক ব্যবহার, উত্ত্যক্ত করায় অভিযুক্ত স্ল্যাটার। গত শুক্রবার কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ ৫৪ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার আরও একটি নতুন অভিযোগ যুক্ত হয়েছে। আদালতে স্ল্যাটারের বিরুদ্ধে জামিনের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
২০০১ ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ়ে স্ল্যাটারের বিরুদ্ধে অসভ্যতার অভিযোগ উঠেছিল। রাহুল দ্রাবিড়ের ক্যাচ তিনি ধরার আগেই বল মাটিতে পড়ে যায়। তবু স্ল্যাটার দাবি করেন, পরিচ্ছন্ন ভাবে ক্যাচ ধরেছেন। পরে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় দ্রাবিড় আউট নন। অস্ট্রেলিয়া দলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তার পর স্ল্যাটারকে দেখা যায় দ্রাবিড়কে গালাগালি করতে। পরে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে স্ল্যাটার বলেছিলেন, ‘‘দ্রাবিড় খুব ভাল মানুষ। আমিই পশুর মতো ব্যবহার করেছিলাম।’’
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত খেলেছেন স্ল্যাটার। ৭৪টি টেস্ট এবং ৪২টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। খেলোয়াড়জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসাবে দেখা যায় তাঁকে।