বুধবার সেমিফাইনাল খেলতে নামছে পাকিস্তান, বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। —ফাইল চিত্র
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটিও ম্যাচ না হেরে শেষ চারে উঠেছে পাকিস্তান। তারাই একমাত্র দল, যারা অপরাজিত। বিরাট কোহলীর ভারতকে হারিয়ে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের বিশ্বকাপ অভিযান। বুধবার তারা সেমিফাইনালে নামছে। বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। দেখে নেওয়া যাক, কোন পাঁচ কারণে এ বার পাকিস্তান আক্ষরিক অর্থে অপ্রতিরোধ্য।
এক, শুরুতে দুই সেরা ব্যাটার
পাকিস্তান ক্রিকেটে বরাবরের একটা প্রথা, দলের সেরা ব্যাটারের পরের দিকে নামা। যেমন ইনজামাম উল হক বেশ কয়েক বছর ধরে পাঁচ নম্বরে নামতেন। কিন্তু এই বিশ্বকাপে দলের সেরা দুই ব্যাটার বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান একেবারে ওপেন করতে নামছেন।
দুই, পরিকল্পনা করা এবং তার সঠিক রূপায়ন
এটা পুরোটাই সম্ভব হয়েছে কোচ সাকলিন মুস্তাক ও ব্যাটিং কোচ ম্যাথু হেডেনের জন্য। কোনও ম্যাচে যদি এরকম পরিকল্পনা থাকে, শুরুতে বেশি ঝুঁকি না নিয়ে খেলে যাওয়া হবে, পরে রান রেট বাড়ানোর দিকে মন দেওয়া হবে, তা হলে বাবর আজম, শাহিন আফ্রিদিরা সেটাই করছেন। নিখুঁত পরিকল্পনা ছকে দেওয়ার কাজটা করছেন সাকলিন, হেডেন।
তিন, দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় না যাওয়া
পাকিস্তান পাঁচটি ম্যাচেই এক দল খেলিয়েছে। ফখর জামান ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকলেও, বা হাসান আলি প্রচুর রান দিলেও পাকিস্তান তাদের দলে কোনও বদল ঘটায়নি। তাদের সমানে সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে বাবর বলেই দিয়েছেন, ‘‘ও যে কোনও দিন একার ক্ষমতায় ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারে। ওর প্রতি আমাদের অগাধ আস্থা আছে।’’
চার, ফিল্ডিংয়ে ব্যাপক উন্নতি
সাম্প্রতিক অতীতে পাকিস্তানের এত ভাল ফিল্ডিং দেখা যায়নি। গ্রুপের পাঁচটি ম্যাচে বল গলানো বা ক্যাচ ফস্কানোর ঘটনা পাকিস্তান দলে তেমন দেখা যায়নি। শাহিন আফ্রিদি একটি ক্যাচ ফেললেও পাঁচটি ম্যাচে একটি ক্যাচ পড়ার ঘটনা কোনও অনুপাতেই আসে না।
পাঁচ, চাপ সামলাতে শেখা
এ বারের বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলকে দেখে মনে হচ্ছে, চাপ কী করে সামলাতে হয়, সেটা খুব ভাল ভাবে শিখে এসেছে তারা। বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে পাকিস্তানের খেলা দেখে একটা সময়ের জন্যও মনে হয়নি, তাদের ক্রিকেটাররা বিন্দুমাত্র চাপে রয়েছে।