বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপের আগে চারটি ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপেও সাকিব আল হাসানদের হারাতে পারেননি রোহিত শর্মারা। স্বাভাবিক ভাবেই বৃহস্পতিবার পুণের ম্যাচে চাপ ছিল ভারতীয় দলের উপরেই বেশি। তবু দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিলেন রোহিতেরা। বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের টানা চতুর্থ জয়ের পাঁচটি প্রধান কারণ খুঁজল আনন্দবাজার অনলাইন।
কারণ ১: ম্যাচ শুরুর আগেই ভারতীয় দল জেনে যায় চোটের জন্য খেলতে পারবেন না শাকিব আল হাসান এবং তাসকিন আহমেদ। প্রতিপক্ষের অন্যতম সেরা দুই ক্রিকেটার না থাকায় মনস্তাত্ত্বিক সুবিধা পেয়ে যায় ভারত। ফলে প্রথম থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার রণকৌশল নেন রোহিতেরা।
কারণ ২: টস জিতে বাংলাদেশের এ দিনের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রান তাড়া করতেই পছন্দ করে ভারত। পুণের উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। পরের দিকে উইকেট ভাঙার সম্ভাবনাও ছিল না। স্বভাবতই শান্তর এই সিদ্ধান্ত রোহিতদের পক্ষে গিয়েছে।
কারণ ৩: যশপ্রীত বুমরা এবং রবীন্দ্র জাডেজার নিয়ন্ত্রিত বোলিং। বুমরা ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। জাডেজা ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের রান তোলার গতিও নিয়ন্ত্রণ করলেন তাঁরা। তাতে ঢাকা পড়লে গেল মহম্মদ সিরাজ এবং শার্দূল ঠাকুরের আলগা বোলিং। সে ভাবে বোঝা গেল না হার্দিক পাণ্ড্যর অনুপস্থিতিও। পুণের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের বেঁধে রাখলেন। ফলে ভারতের জয়ের লক্ষ্যও থাকল নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।
কারণ ৪: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শুরুতে একটু অগোছালো দেখালেও সার্বিক ভাবে ভাল ফিল্ডিং করলেন ভারতীয়েরা। লোকেশ রাহুল উইকেটে পিছনে অনবদ্য ক্যাচ ধরে সাজঘরে ফেরালেন মেহেদি হাসান মিরাজকে। পয়েন্ট অঞ্চলে তৎপর জাডেজার ক্যাচে ফিরতে হল মুশফিকুর রহিমকে। ভারতের ফিল্ডিং খুচরো রান নেওয়ার ক্ষেত্রেও চাপে রাখল বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
কারণ ৫: শ্রেয়স আয়ার ছাড়া সকলেই ব্যাট হাতে সফল হলেন। ওপেন করতে নেমে অধিনায়ক রোহিত আগ্রাসনের যে সুর বেঁধে দিয়েছিলেন, সেই মতোই ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে গেলেন ভারতের ব্যাটারেরা। শুভমন গিল, কোহলি, রাহুলেরা সাবলীল ব্যাটিং করলেন। বাংলাদেশের বোলারেরা তাঁদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি। রোহিত, শুভমন, শ্রেয়সেরা আউট হলেন বড় শট খেলতে গিয়ে বা নিজেদের ভুলে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে কোনও অসুবিধাই হল না ভারতীয় দলের।