(বাঁ দিক থেকে) শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, মিচেল স্যান্টনার এবং কেন উইলিয়ামসন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আর একটিই ম্যাচ বাকি। রবিবার দুবাইয়ে ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে নিউ জ়িল্যান্ড। দু’দল আগেই গ্রুপ পর্বে খেলে ফেলেছে। দ্বিতীয় বার সাক্ষাৎ হতে চলেছে তাদের। এক দিনের ক্রিকেটে দুই দল ১১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে। ভারত জিতেছে ৬১টি ম্যাচে। নিউ জ়িল্যান্ড ৫০টি ম্যাচে। একটি টাই এবং সাতটি পরিত্যক্ত হয়েছে।
দুই দলেই রয়েছেন তারকা ক্রিকেটারেরা। ফলে রবিবার উত্তেজক ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় সমর্থকেরা। পাঁচ দ্বৈরথ নিয়ে আলোচনা করল আনন্দবাজার ডট কম।
ম্যাট হেনরি বনাম শুভমন গিল
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউ জ়িল্যান্ডের সফলতম বোলার হেনরি। চার ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন। তার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজ়ে দু’টি ম্যাচে পাঁচটি উইকেট নিয়েছিলেন। হেনরির উপরে দায়িত্ব থাকবে শুভমনকে আটকানোর। চলতি বছরে শুভমন রানের মধ্যে রয়েছেন। দু’টি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান হয়ে গিয়েছে। তবে গত দু’টি ম্যাচে রান পাননি। শুভমনকে ৮১টি বল করে ৬২ রান হজম করেছেন হেনরি। আগের ম্যাচেই আউট করেছেন শুভমনকে। ডানহাতি ব্যাটারদের ক্ষেত্রে হেনরির গড়ও ভাল। ৮৯টি ইনিংসে ১১৩ জন ডানহাতি ব্যাটারকে আউট করেছেন। শুভমনও ডানহাতি বোলারদের ক্ষেত্রে বেশ ভাল। তাই জমাটি লড়াই হতে পারে।
মিচেল স্যান্টনার বনাম বিরাট কোহলি
স্যান্টনারের নিখুঁত বোলিং এবং বৈচিত্র কিউয়িদের অস্ত্র হতে পারে। কোহলিকে বৈচিত্র দিয়ে ঘায়েল করতে পারেন। ইদানীং স্পিনের বিরুদ্ধে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে কোহলির। তবে পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে রান পাননি। স্যান্টনারের বিরুদ্ধে কোহলির গড় ৬০-এর উপর। তবে চার বার আউটও হয়েছেন। কোহলি ২৫৯টি বল খেলে ১৮০ রান করেছেন। ১০৯টি ডট বল খেলেছেন। ডানহাতিদের বিরুদ্ধে স্যান্টনারের গড় বেশ ভাল। সেখানে কোহলি বাঁহাতি স্পিনারদের বিরুদ্ধে ১৫৯৬ রান করলেও, ২৪ বার আউট হয়েছেন।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মাইকেল ব্রেসওয়েল বনাম শ্রেয়স আয়ার
প্রথম সারির স্পিনার নন। কিন্তু নিউ জ়িল্যান্ড দলে ব্রেসওয়েলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আংশিক সময়ের স্পিনার হিসাবেও দলকে সাহায্য করতে পারেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন। শ্রেয়সের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ে চোখ থাকবে। কারণ শ্রেয়স যে সময়ে ব্যাট করেন, সেই সময়েই বল করতে আসেন ব্রেসওয়েল। শ্রেয়স স্পিন খারাপ খেলেন না। ডানহাতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে ২৮টি ইনিংসে ২১টি উইকেট নিয়েছেন ব্রেসওয়েল। ডানহাতি অফস্পিনারদের বিরুদ্ধে শ্রেয়সের গড় ৬৬-এর কাছাকাছি। মাত্র চার বার আউট হয়েছেন। স্ট্রাইক রেটও ১০০-র উপরে।
মহম্মদ শামি বনাম ডেভন কনওয়ে
বাকি ম্যাচগুলির মতো ফাইনালেও ভারতের বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেবেন মহম্মদ শামি। কিউয়িদের জীবন কঠিন করে তুলতে পারেন। দীর্ঘ চোট-আঘাতের পরে শামি ভাল ফর্মে রয়েছেন। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে উইকেট পাননি। তবে ২০২৩ এক দিনের বিশ্বকাপে সাত উইকেট নিয়েছিলেন। তাঁর প্রধান লক্ষ্য থাকবে কনওয়েকে আউট করা। শামির আটটি বলে কনওয়ে মাত্র একটি রান করেছেন। এক বার আউট হয়েছেন। ৯৯টি ইনিংসে ৬১ জন বাঁহাতিকে আউট করেছেন শামি। কনওয়ে আবার ডানহাতি পেসারদের বিরুদ্ধে ৩১ ইনিংসে ৫৮৭ রান করেছেন। ১৮ বার আউট হয়েছেন।
রবীন্দ্র জাডেজা বনাম কেন উইলিয়ামসন
জাডেজার বাঁহাতি স্পিন ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনিও নিখুঁত লাইন-লেংথে বোলিং এবং বৈচিত্রের জন্য পরিচিত। তাঁর সামনে পরীক্ষা দিতে হবে উইলিয়ামসনকে। প্রাক্তন কিউয়ি অধিনায়ক নিজে স্পিন ভালই খেলতে পারেন। জাডেজাকে কী ভাবে সামলান সেটাই দেখার। আটটি এক দিনের ম্যাচে জাডেজার বিরুদ্ধে উইলিয়ামসনের গড় ৬৭। ২০৭ বলে ১৫৯ রান করেছেন। দু’বার আউট হয়েছেন। বাঁহাতি স্পিনারদের বিরুদ্ধে উইলিয়ামসনের ভাল গড় রয়েছে। ৬৭ ইনিংসে ৯২৭ রান করেছেন ৬৬.২১ গড়ে। ডানহাতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে ১৮২টি উইকেট রয়েছে জাডেজার।