চর্চায়: পিচ দেখছেন নাইট তারকা বরুণ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচ দেখতে কলকাতায় এসেছিলেন তিন বন্ধু। কিন্তু ৬ এপ্রিলের পরিবর্তে ম্যাচ ৮ এপ্রিল হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ দেখার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। কারণ, সোমবার সকালেই তাঁদের ফিরে যাওয়ার বিমান। কিন্তু কলকাতায় এসে এক বার ইডেনটা দেখে যাবেন না? তাঁরা আবার লখনউ কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও ওপেনার মিচেল মার্শের বন্ধু।
সেই তিন বন্ধুর গ্রুপে এক জন অলিম্পিক্সি পদক জয়ী সাঁতারু। তিনি— টড পিয়ারসন। ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছেন। ২০০৪ আথেন্স অলিম্পিক্সে রুপো পেয়েছিলেন। পিয়ারসন ক্রিকেটের ভক্ত। তিন বন্ধুকে দেখে জাস্টিন ল্যাঙ্গার নিজে ক্লাব হাউস গ্যালারির সামনে এসে ঠান্ডা জলের বোতল ছুড়ে দিলেন মাঠ থেকে। তাঁদের ক্যাচ নেওয়ার ভঙ্গি দেখে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘‘তোমরা তো দেখছি স্লিপে ফিল্ডিং করতে পারবে?’’
ইডেনে রবিবাসরীয় দুপুরে দাবদাহের মাঝে এমনই কিছু মুহূর্ত তাপমাত্রা কমিয়ে দিল দু’দলের মাঝে। কেকেআর ও লখনউ ক্রিকেটাররা যে মঙ্গলবার একে অন্যের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন, বোঝার কোনও উপায় ছিল না। সুনীল নারাইনকে শেষ কবে হাসতে হাসতে মাঠে শুয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে, তা হয়তো আন্দ্রে রাসেলও মনে করতে পারবেন না। কিন্তু এ দিন ইডেনে ঋষভ পন্থের সঙ্গে মস্করার সময় নারাইন হাসতে হাসতে মাঠে গড়াগড়ি খেলেন। আবেশ খান, নিকোলাস পুরান, ডোয়েন ব্র্যাভো, পন্থ, রাসেল, নারাইন মিলে প্রায় এক ঘণ্টা গল্প করলেন নাইটদের নেটের পাশে। পন্থকে দেখলে মনেই হবে না তিনি এখনও পর্যন্ত আইপিএলের চারটি ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র ১৯ রান করেছেন। ২৭ কোটির ক্রিকেটার এখনও পর্যন্ত ২৭ রানেও পৌঁছতে পারেননি। কিন্তু অনুশীলনে তাঁর মধ্যে বাড়তি কোনও তাগিদই লক্ষ্য করা গেল না। নেটে ব্যাট করলেন না। উইকেটকিপিং অনুশীলনও করলেন না। শুধুমাত্র সতীর্থদের সঙ্গে ফুটবল খেললেন। তার পরে গল্পে মেতে উঠলেন বাকিদের সঙ্গে।
আগামী ম্যাচের পিচটাও ভাল করে দেখলেন ঋষভ। তার পরে রবি বিষ্ণোই ও দিগ্বেশ রাঠির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। এই পিচে যে বল ঘুরতে পারে, সেই বার্তাই কি পৌঁছে দিলেন? সি ভি বরুণও বেশ কিছুক্ষণ পিচ দেখেন। সূত্রের খবর, কেকেআরের আবদার অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে লখনউ ম্যাচের পিচ।
শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে যে রকম পিচ ছিল, তার চেয়ে বাউন্স কিছুটা বেশি থাকতে পারে নতুন পিচে। কিন্তু স্পিনাররা যথেষ্ট সাহায্য পাবেন। স্পিনের পাশাপাশি বল বাউন্সও করবে। শনিবার বিকেলে পিচে শেষ বার জল দেওয়া হয়। সেই জল শুকোতে রবিবার পিচের আচ্ছাদন তুলে দেওয়া হয়। সারা দিন ধরে রোদ পেয়ে পিচ শুষ্ক।
এই বাইশ গজ কাদের সাহায্য করে সেটাই দেখার।