Wriddhiman Saha

Wriddhiman Saha: সিএবি চাইলেই সমস্যা মেটাতে পারত: ঋদ্ধিমান

বাংলা ছেড়ে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলার সিদ্ধান্তে এখনও অনড় ঋদ্ধিমান সাহা। ঋদ্ধি এ বার কোথায় খেলবেন? কী তাঁর ভবিষ্যৎ?

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২২ ০৬:২০
Share:

অনড়: অপমানিত হয়েই বাংলা ছাড়ছেন ঋদ্ধিমান। ফাইল চিত্র।

বাংলা ছেড়ে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলার সিদ্ধান্তে এখনও অনড় ঋদ্ধিমান সাহা। কোনও ভাবেই তাঁকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। সিএবির যুগ্মসচিব তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরে ক্ষুব্ধ ঋদ্ধি ভেবেছিলেন, সিএবি-র পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে অন্তত তাঁকে থাকার অনুরোধ করা হবে। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া ব্যক্তিগত ভাবে অনুরোধ করলেও সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারি কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। ঋদ্ধি এ বার কোথায় খেলবেন? কী তাঁর ভবিষ্যৎ? সব কিছু নিয়েই আনন্দবাজারকে খোলাখুলি জবাব দিলেন অভিজ্ঞ উইকেটকিপার।

Advertisement

প্রশ্ন: বাংলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কবে পাকাপাকি ভাবে নিলেন?

ঋদ্ধিমান সাহা: সিএবির যুগ্মসচিব আমার বিরুদ্ধে যে ধরনের মন্তব্য করেছেন, তা সত্যি বিস্ময়কর। অচেনা কেউ এ ধরনের মন্তব্য করলে আমার গায়ে লাগত না। কিন্তু বাংলার হয়ে এত দিন খেলার পরেও কী করে বলা যায়, রাজ্যের হয়ে খেলার সময় আমি গায়ে ব্যথা, পায়ে ব্যথার অজুহাত দিতাম? এতটা অপমানিত হব আশা করিনি। সিএবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও এ বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। তার পরেও সরকারি ভাবে কোনও অনুরোধ অথবা ক্ষমা চাওয়া হয়নি। ওদের নিষ্ক্রিয়তা দেখেই সিদ্ধান্ত নিই, আর যেখানেই হোক, বাংলার হয়ে খেলব না।

Advertisement

প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয়, সিএবি বিষয়টি মিটিয়ে নিতে পারত?

ঋদ্ধিমান: অবশ্যই পারত! অভিষেক ডালমিয়া ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে অনেক অনুরোধ করেছেন খেলার জন্য। আমি স্পষ্ট বলেছিলাম, সিএবির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে যুগ্মসচিব আমাকে অপমান করেছেন। সুতরাং এই ঘটনার দায় রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকেই নিতে হবে। সিএবির পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে যদি আমাকে অনুরোধ করা হত, তা হলে নিশ্চয়ই ভেবে দেখতাম। কিন্তু তারা হয়তো আর আমাকে চায় না।

প্রশ্ন: কোথায় খেলবেন?

ঋদ্ধিমান: বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে প্রস্তাব আছে। ত্রিপুরা অন্যতম। তবে যেখানেই খেলি না কেন, কোনও তরুণ উঠতি কিপারের জায়গা নষ্ট করতে চাই না।

প্রশ্ন: ভারতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন আর দেখেন না? চেতেশ্বর পুজারা তো ফিরে এসেছেন।

ঋদ্ধিমান: ভারতীয় দল থেকে আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে, আর কখনও আমার কথা ভাবা হবে না। পুজারার সঙ্গে এ রকম কথা হয়েছে কি না, বলতে পারব না। সেই দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই এমন রাজ্যে খেলব, যেখানে উঠতি কোনও ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ আমার জন্য নষ্ট হবে না। যেখানে সম্মান পাব। বাংলা থেকে যেটা পেলাম না।

প্রশ্ন: বাংলার দলে আপনার নাম দেখার পরে নাকি চমকে গিয়েছিলেন?

ঋদ্ধিমান: হ্যাঁ। আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করার আগেই দলে নাম তুলে দেওয়া হয়েছিল। তা ছাড়া অভিষেক পোড়েল দলে রয়েছে। ও উঠতি ক্রিকেটার। আমি কেন নিজের জন্য ওর মতো উঠতি ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ নষ্ট করব?

প্রশ্ন: সিএবির কাছে ছাড়পত্র (এনওসি) কবে চাইতে যাবেন?

ঋদ্ধিমান: আমি শিলিগুড়ি যাচ্ছি। সেখান থেকে ফিরে আসার পরেই দেখা করতে যাব।

প্রশ্ন: বাংলা ছেড়ে চলে যাবেন, মন খারাপ হবে না?

ঋদ্ধিমান: ক্রিকেটারদের অনেক কিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হয়। প্রত্যেকটি পরিস্থিতির জন্য আলাদা পরিকল্পনা প্রয়োজন। আমার কাছে পরিস্থিতিই এমন যে, আর কোনও উপায় নেই। খারাপ তো লাগবেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement