বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র
এখনও খাতায়-কলমে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যায়নি পাকিস্তান। ইডেনে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রান করেছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তান যদি রান তাড়া করতে নেমে ৬.৪ ওভারের মধ্যে জিতে যায় তা হলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে যাবে তারা। তবে যা পরিস্থিতি তাতে খাতায়-কলমে সুযোগ থাকলেও বাস্তবে তা করা কার্যত অসম্ভব।
পাকিস্তান যদি আগে ব্যাট করত তা হলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ বেশি থাকত তাদের। সে ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডকে ২৮৭ রানের ব্যবধানে হারাতে হত। কিন্তু টস হেরে প্রথমে বল করতে হয় পাকিস্তানকে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার টস জেতার পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতেই বাবর আজ়মের মুখ কালো হয়ে যায়। তিনি বুঝে যান, এর পরে সেমিফাইনালে ওঠা কার্যত অসম্ভব। কিন্তু তখনও একটা সুযোগ ছিল সেমিফাইনালে ওঠার। তার জন্য ভাল বল করতে হত পাকিস্তানকে। কিন্তু সেটা করতে পারেননি শাহিন শাহ আফ্রিদিরা।
ভাল ব্যাট করেন ইংল্যান্ডের প্রথম ছয় ব্যাটার। জনি বেয়ারস্টো ৫৯, জো রুট ৬০ ও বেন স্টোকস ৮৪ রান করেন। শেষ দিকে দলকে টানেন হ্যারি ব্রুক ও ডেভিড উইলি। তা-ও শেষ দিকে পর পর ইংল্যান্ডের কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায় তাদের। নইলে আরও বড় রান করত ইংল্যান্ড।
শেষ পর্যন্ত ৩৩৭ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। পাকিস্তানকে ৪০ বলের মধ্যে সেই রান তাড়া করে জিততে হবে। এটি বাস্তবে করা কার্যত অসম্ভব। সেই কারণে বলা যেতে পারে, বিশ্বকাপের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা পাকিস্তানের কার্যত নেই।