অবসর নিলেন মর্গ্যান। —ফাইল চিত্র
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন অইন মর্গ্যান। মঙ্গলবার ইংল্যান্ড দলের নেতৃত্ব ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত জানালেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। সাত বছরের বেশি সময় ইংল্যান্ড দলকে সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়েছেন মর্গ্যান।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড হেরে যাওয়ার পর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মর্গ্যানের হাতে। তাঁর আক্রমণাত্মক খেলার ধরন বদলে দেয় ইংল্যান্ড দলকেও। ইংরেজ দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি। মর্গ্যানের নেতৃত্বেই ২০১৯ সালে এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে আইসিসির ক্রমতালিকায় এক নম্বরে নিয়ে যান মর্গ্যান। তাঁর নেতৃত্বে প্রায় সব বড় দলকেই হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ৬০ শতাংশ ম্যাচে জয় পেয়েছেন অধিনায়ক মর্গ্যান।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তা রব কি বলেন, “মর্গ্যানের মতো বড় মাপের ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক খেলাটাই পাল্টে দিয়েছিলেন। একটা প্রজন্মকেই পাল্টে দিয়েছেন তিনি। পরের প্রজন্ম কী ভাবে খেলবে সেটার উপরেও প্রভাব রয়েছে মর্গ্যানের। আগামী দিনেও মর্গ্যানের প্রভাব থাকবে।”
শুধু ইংল্যান্ড নয়, আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মর্গ্যান। এ বছর যদিও তাঁকে কোনও আইপিএল দলই নেয়নি। বেশ কিছু বছর ধরেই ছন্দে ছিলেন না মর্গ্যান। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শেষ সিরিজে প্রথম দু’টি ম্যাচেই শূন্য করেন তিনি। শেষ ম্যাচে চোটের কারণে খেলেননি মর্গ্যান। শেষ দেড় বছরে ৪৮টি ইনিংস খেলে একটি মাত্র অর্ধশতরান করেন তিনি।
ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার আগে আয়ারল্যান্ডের হয়েও খেলেছিলেন মর্গ্যান। এক দিনের ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের হয়ে মর্গ্যানের অভিষেক হয় ২০০৬ সালে। ২০০৯ সাল থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা শুরু করেন মর্গ্যান। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ১৬টি টেস্ট খেলেন তিনি। লাল বলের ক্রিকেটে তাঁর সংগ্রহ ৭০০ রান। দু’টি শতরান রয়েছে তাঁর। এক দিনের ক্রিকেটে ২৪৮টি ম্যাচ খেলেছেন মর্গ্যান। তাঁর সংগ্রহ ৭৭০১ রান। ১৪টি শতরান রয়েছে মর্গ্যানের এক দিনের ক্রিকেটে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ১১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে তাঁর সংগ্রহ ২৪৫৮ রান।