বেন ডাকেট আউট হওয়ার পরে কুলদীপ যাদবের সঙ্গে উল্লাস রোহিত শর্মার। ছবি: রয়টার্স।
পরিবেশ ও আবহাওয়া দেখে মনে হয়েছিল পেসারদের খেলতে সমস্যা হবে ব্যাটারদের। সমস্যা কিছুটা হল ইংল্যান্ডের দুই ওপেনারের। যশপ্রীত বুমরার দু’একটা বল তো বুঝতেই পারলেন না জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। কিন্তু কোনও রকমে ক্রিজ়ে টিকে থাকলেন তাঁরা। অর্ধশতরানের জুটি বাঁধলেন। ধীরে ধীরে হাত খুললেন। অর্ধশতরান করলেন ক্রলি। ভারতকে খেলায় ফেরালেন কুলদীপ যাদব। জোড়া উইকেট নিলেন তিনি। প্রথম দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ইংল্যান্ডের রান ২ উইকেটে ১০০।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট নিতে এক সেকেন্ডও চিন্তা করেননি ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। বুমরার বল শুরুতে একটু সুইং করছিল। কিন্তু ক্রিজ়ে বাউন্স কম থাকায় সামলাতে সমস্যা হচ্ছিল না ইংরেজ ব্যাটারদের। তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন খারাপ বলের। কোনও বল ব্যাটের গোড়ায় পেলে বড় শট খেলতে ভয় পাচ্ছিলেন না ডাকেট ও ক্রলি। ফলে রান উঠছিল।
দুই পেসারের প্রথম স্পেলের পরে স্পিনারদের হাতে বল তুলে দেন রোহিত। প্রথমে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পরে কুলদীপ। অশ্বিনের বল সাবধানে খেলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। ঝুঁকি নেননি। কিন্তু কুলদীপের প্রথম ওভারেই বড় শট খেলতে যান ডাকেট। ব্যাটে-বলে হয়নি। পিছন দিকে বেশ খানিকটা দৌড়়ে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরেন শুভমন গিল। ২৭ রানে ফেরেন ডাকেট।
ক্রলি ভাল খেলছিলেন। তাঁকে সঙ্গ দেন ওলি পোপ। অন্যান্য টেস্টের তুলনায় এই টেস্টে ইংল্যান্ডের রান তোলার গতি শুরুতে কিছুটা কম হলেও বেশি উইকেট পড়েনি। হাত জমে যাওয়ার পরে রান তোলার গতি বাড়ালেন ক্রলি। অশ্বিনের বলে সামনে বিশাল ছক্কা মারলেন। মধ্যাহ্নভোজের আগেই অর্ধশতরান করলেন ক্রলি। বিরতির ঠিক আগেই ইংল্যান্ডকে আরও একটি ধাক্কা দিলেন কুলদীপ। তাঁর বলে ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে ১১ রানের মাথায় স্টাম্প আউট হলেন পোপ। বিরতিতে ৬১ রানে অপরাজিত রয়েছেন ক্রলি।