Ashes 2023

অস্ট্রেলিয়া অল আউট ২৭৯ রানে, অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট জিততে ইংল্যান্ডের দরকার ৩৭১ রান

অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৯ রানে অল আউট হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্ট জিততে হলে ৩৭১ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৩ ২০:৫৫
Share:

অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পরে উল্লাস ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। ছবি: পিটিআই

অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৯ রানে অল আউট হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ফলে ইংল্যান্ডের সামনে জেতার জন্য ৩৭১ রানের লক্ষ্য দিলেন প্যাট কামিংসরা। চতুর্থ দিনের শেষ সেশন ও গোটা পঞ্চম দিনের খেলা এখনও বাকি। অর্থাৎ, এই টেস্টেও ফলের সম্ভাবনা রয়েছে ১০০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড, দু’দলের কাছেই সুযোগ রয়েছে জেতার।

Advertisement

চতুর্থ দিন ইংল্যান্ডকে খেলায় ফেরালেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ছিল ৩১৩ রানে। তখনও হাতে ৫ উইকেট ছিল কামিন্সদের। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে মাত্র ৫৭ রানে অস্ট্রেলিয়ার শেষ পাঁচ উইকেট পড়ে গেল। তার কৃতিত্ব মূলত ওলি রবিনসনের। ক্যামেরন গ্রিনকে ১৮ ও অ্যালেক্স ক্যারেকে ২১ রানের মাথায় আউট করেন তিনি। চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের শরীর লক্ষ্য করে বাউন্সার করার পরিকল্পনা করেছিলেন ইংরেজ বোলাররা। সেই পরিকল্পনা কাজে লাগে। বাউন্সার সামলাতে না পেরে আউট হলেন অস্ট্রেলিয়ার একের পর এক ব্যাটার।

দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার নীচের সারির ব্যাটাররা বিশেষ রান করতে পারেননি। প্যাট কামিংসকে আউট করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। জশ হ্যাজ়লউডের উইকেট নেন বেন স্টোকস। শেষ পর্যন্ত ২৭৯ রানে শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্য ৩৭১ রান।

Advertisement

টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে রানের লক্ষ্য কম নয়। তবে ইংল্যান্ডের হাতে সময় রয়েছে। চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ভাল ব্যাট করলে জেতার সুযোগ তৈরি হবে স্টোকসদের সামনে। সুযোগ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ারও। দিনের শেষ সেশনে ইংল্যান্ডের কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পারলে সিরিজ়ে ২-০ এগিয়ে যাওয়ার দিকে পা বাড়াবেন কামিংসরা।

তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ২ উইকেটে ১৩০। ক্রিজে ছিলেন উসমান খোয়াজা ও স্টিভ স্মিথ। চতুর্থ দিন সকাল থেকে ভাল খেলছিলেন খোয়াজা। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন স্মিথ। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই অর্ধশতরান করেছিলেন খোয়াজা। তাঁর কাছে সুযোগ ছিল আর একটি শতরান করার। কিন্তু ৭৭ রানের মাথায় স্টুয়ার্ট ব্রড আউট করেন তাঁকে। তার পরেই জশ টাংয়ের বলে আউট হয়ে যান স্মিথ। তিনি করেন ৩৪ রান। পাঁচ নম্বরে নেমে ট্রাভিস হেড আবার চেষ্ট করেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে রান পাননি তিনি। মাত্র সাত রান করে ফেরেন তিনি।

অ্যাশেজ সিরিজ়ে ১-০ এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টেস্ট জিতেছে তারা। কিন্তু কেন এই সিরিজ়কে অ্যাশেজ বলা হয়? তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক ইতিহাস। যা কিছুটা ব্যাঙ্গাত্মক। খানিকটা শোকেরও। ১৮৮২ সালে ওভালে আয়োজিত টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম হেরেছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার ফ্রেড স্পফোর্থের অনবদ্য বোলিংয়ের কাছে হারতে হয়েছিল ইংরেজদের। চতুর্থ ইনিংসে ৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি তারা। স্পফোর্থ ৪৪ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ০-১ ব্যবধানে সিরিজ় হেরে গিয়েছিল। পরের দিন ইংল্যান্ডের সংবাদ পত্র ‘দ্য স্পোর্টিং টাইমস্‌’ তাদের প্রতিবেদনে ক্রিকেট দলের তীব্র সমালোচনা করেছিল। লেখা হয়েছিল, ইংরেজ ক্রিকেটকে চিরস্মরণীয় করে রাখল ওভালের ২৯ আগস্ট, ১৮৮২ তারিখটি। গভীর দুঃখের সাথে বন্ধুরা তা মেনে নিয়েছে। ইংরেজ ক্রিকেটকে ভস্মীভূত করা হয়েছে এবং ছাইগুলো অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া হয়েছে। এর পরের বছর সিরিজ় পুনরুদ্ধার করতে অস্ট্রেলিয়ায় যায় ইংল্যান্ড। সংবাদমাধ্যমের ব্যঙ্গ মনে রেখে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক আইভো ব্লাই বলেছিলেন, তাঁরা অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করতে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন।

সেই সময় কয়েকজন অস্ট্রেলীয় মহিলা ব্লাইকে আগের সিরিজ়ে পরাজয় নিয়ে পাল্টা ব্যঙ্গ করে ছাই ভর্তি একটি পাত্র দিয়েছিলেন। যাতে ছিল উইকেটের উপরে থাকা বেলের ছাই। তার পর থেকে দু’দেশের টেস্ট সিরিজ় ‘অ্যাশেজ’ বলে পরিচিত হয়। ব্লাই অবশ্য ছাইয়ের সেই আধারটি ব্যক্তিগত উপহার হিসাবে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। বিজয়ী দলকে ট্রফি হিসাবে তা দেওয়া হত না তখন। ব্লাইয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী লর্ডসে এমসিসি জাদুঘরে সেই পাত্রটি দান করে দিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement