England Cricket Team

ভারতেও কি বাজবে ‘বাজ়বল’ ক্রিকেট? বুঝেই উঠতে পারছে না স্টোকসের ইংল্যান্ড

বাজ়বল ক্রিকেট খেলে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ সিরিজ় জয়ের আশায় জল ঢেলেছেন স্টোকসেরা। ভারতের মাটিতেও কি তাঁদের আগ্রাসী ক্রিকেট কার্যকর হবে? এখন থেকেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ১৬:৪৩
Share:

বেন স্টোকস। —ফাইল চিত্র।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাশেজ় সিরিজ়ে কাজে এসেছে ইংল্যান্ডের বাজ়বল ক্রিকেট। চতুর্থ টেস্টে বৃষ্টি জল না ঢাললে ইংল্যান্ড হয়তো সিরিজ় জিতে যেত। পাঁচ মাস পরে ভারতের মাটিতেও কি বেন স্টোকসদের এই পরিকল্পনা কার্যকর হবে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা কিন্তু দোলাচলে।

Advertisement

ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ হওয়ার পর থেকে বদলে দিয়েছেন ক্রিকেট দর্শন। ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং— ম্যাকালাম মাঠে সব সময় ক্রিকেটারদের আগ্রাসী থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ফুটবলের মতো ‘অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স’ কৌশলে স্টোকসদের টেস্ট খেলাচ্ছেন ম্যাকালাম। ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেট দর্শনকে বলা হচ্ছে বাজ়বল (ইংল্যান্ডের কোচ ম্যাকালাম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাচ্ছেন দলকে। যে হেতু তাঁর ডাকনাম ‘বাজ়’, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে বাজ়বল বলা হচ্ছে।) ম্যাকালামের দেখানো পথে সাফল্য পাচ্ছেন ইংরেজরা। পাকিস্তানের মাটিতেও সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা। একই ভাবে ভারতের মাটিতেও কি তাঁরা সফল হবেন?

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভারত সফরে আসার কথা স্টোকদের। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ়ে মুখোমুখি হবে ভারত এবং ইংল্যান্ড। আগামী বছরের গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজ় নিয়ে আশাবাদী ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা। ইংরেজ ব্যাটার জ্যাক ক্রলি প্রথমে দাবি করেছেন, ভারতের মাটিতেও বাজ়বল ক্রিকেট কার্যকর হবে। কিন্তু তার পরেই বাজ়বল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। আবার ইংল্যান্ডের জোরে বোলার অলি রবিনসনের মতে, ভারত সফর অ্যাশেজ়ের থেকেও বেশি কঠিন হবে।

Advertisement

রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজ়কে ‘দুর্দান্ত সুযোগ’ বলেছেন ক্রলি। কিন্তু ভারতের মাটিতে বাজ়বল নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভারতের মাঠগুলো সম্পর্কে আমার খুব বেশি ধারণা নেই। ভারতের কয়েকটা উইকেটে বল ভাল সুইং করে। কোনও কোনও সময় প্রত্যাশার থেকে বেশি নড়াচড়া করে। আশা করছি, অন্তত দু’টি মাঠে আমরা কিছুটা সুবিধা পাব।’’

ইংল্যান্ডকে পাঁচটি টেস্ট খেলতে হবে হায়দরাবাদ, বিশাখাপত্তনম, রাজকোট, রাঁচী এবং ধর্মশালায়। টেস্ট কেন্দ্র হিসাবে এর কোনওটিই বিশাল পরিচিত নয়। ফলে উইকেট কী রকম হবে, সে সম্পর্কে ধারণা করা কঠিন। যদি স্পিন সহায়ক উইকেট হয়, তাতেও ভাবছেন না ক্রলি। বলেছেন, ‘‘মনে হয় না সমস্যা হবে। আমরা এখন স্পিন যথেষ্ট ভাল খেলি। স্পিন সহায়ক উইকেটে আমরা আগের থেকে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ। কী ধরনের উইকেট দেওয়া হবে জানি না। আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। ভারতের কয়েকটা মাঠে খেলা একটু কঠিন। জানি না আগের বার চেন্নাই বা আমদাবাদে যে রকম স্পিনিং উইকেটে আমাদের খেলতে হয়েছিল, এ বারও সে রকম উইকেট আমাদের দেওয়া হবে কি না।’’

রবিনসন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, অ্যাশেজের থেকেও ভারতের মাটিতে কঠিন লড়াই করতে হবে তাঁদের। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার মতে ভারতে আমাদের আরও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। ওই সিরিজ়ের জন্য নিজেকে যতটা সম্ভব ফিট রাখতে চাই। আরও ভাল বোলিং করতে হবে ভারতের মাটিতে। হাতে যে সময় রয়েছে, সেটা কাজে লাগাতে চাই ফিটনেস এবং বোলিংয়ের উন্নতির জন্য।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement